রাজশাহী পুঠিয়ায় আইনশৃঙ্খলার চড়ম অবনতি হয়েছে। হাত বাড়ালেই মাদক কেনা যায়। রাত হলে পুকুর খননকারীদের মাটিবাহী যানবাহনের তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে অনলাইন জুয়া খেলা হয়ে থাকে। টাকা ছাড়া থানায় কোনো রকম সেবা পাওয়া যায় না। পুঠিয়া সদরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদক কেনাবেচা হচ্ছে। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে আদিবাসি পাড়ায় প্রকাশ্যে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার চোলাই মদ কেনাবেচা হয়। উপজেলার মাদক কেনাবেচার সঙ্গে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জড়িয়ে রয়েছেন। তাই মাদককারবারীদের সঙ্গে থানা পুলিশের শখ্যতা থাকার অভিযোগ উঠেছে। বানেশ্বর তাতারপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা করে নামিদামি মদ বিক্রি করছে। রাত হলে উপজেলার প্রায় ২০টি স্থানে থানার সঙ্গে চুক্তি করে পুকুর খনন এবং মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। পুকুর খনন করা মাটি বহন করতে গিয়ে উপজেলাবাসীদের ঘুম হারাম হচ্ছে। অপরদিকে মাটি বহন করে কোটি কোটি টাকা মূল্যের গ্রামীণ সড়কগুলো চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ দেখার নেই। অবশ্যই মাঝেমধ্যে লোক দেখানো জন্য উপজেলা প্রশাসন ভ্র্যামাণের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করছে। তারপরও মাটিবাহি ট্রাক ও পুকুর খনন বন্ধ হচ্ছে না। তাই থানার ভূমিকা নিয়ে উপজেলাবাসীদের মাঝে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুঠিয়া রাজবাড়ি এবং বানেশ্বর বাজারসহ কয়েকটি জায়গায় অনলাইন জুয়া খেলাইয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অনলাইন জুয়া খেলছে বেশিরভাগ যুবকরা। জুয়া খেলা ও মাদক দ্রব্য নেশা করার জন্য যুবরা ছোটখাটো চুরি করার একাধিক অভিযোগ শুনা যাচ্ছে। ঈদের আগের দিন আদিবাসি পাড়ার সামনে ১০ হাজার টাকা দিয়ে এক মাদক বিক্রেতাকে ছেড়ে দিয়েছেন থানার এক উপ-পরিদর্শক। পুঠিয়া ইউনিয়নের খাঁ পাড়ায় দুইভাই জমি দখল নিয়ে মারামারি হয়। থানার এসআই ১০ হাজার টাকা নিয়ে সমাধান করে দেয়। ১৬ এপ্রিলে ধনঞ্জয়পাড়া মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় আলঙ্গীর হোসেন সোহাগকে মাদককারবারি মনির পিটিয়ে আহত করেছে। সোহাগ চারদিন হাসপাতালে ছিলেন। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও মামলা হিসাবে গ্রহন করা হয়নি বলে সোহাগ অভিযোগ তুলেছেন। উল্টো মাদককারবারি মনির তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। সে জীবনের নিরাপত্তাহীনতা রয়েছেন। আলঙ্গীরের মতো প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ কাঙ্খিত সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। জালাল উদ্দিন নামের ব্যক্তি বলেন, বর্তমানে থানাকে টাকা দিলে সেবা পাওয়া যায়। আর না দিলে সেবা নেই। এ বিয়য়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, এই থানাতে কাউরো কোনো অন্যায় করার সুযোগ নেই। কিছু মাটি বহন করছেন মন্ত্রী মহদয়ের লোকজন। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) রাজিবুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, মাদক জুয়া খেলা পুকুর খননের মাটি সড়ক নষ্ট করার বিয়য়ে আমি অবগত নেই। তবে আগামীতে যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে আইনুঙ্গগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।