চাহিদার তুলুনায় আমদানি কমে যাওয়ায় দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে ফের দেশী পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মোকামগুলোতেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মোকামগুলোতে পেঁয়াজের দাম ওঠা নামা করলে আমাদের লোকসান গুনতে হয়। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশীয় পেঁয়াজের দাম আরো কমে আসবে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগে কিং জাতের দেশীয় পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ সেই পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মোকছেদ আলী বলেন, আমি দুই দিন আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৪৫ টাকা কেজি দরে। আজকে সেই পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনলাম। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি চাচ্ছে। এমনিতে কয়েক দিনের তীব্র তাপদহ যাচ্ছে কাজ কাম করতে পারিনি। আমরা গরীব মানুষ ভালো আর মন্দ দেখে লাভ নেই। কম দামে যেটা পাবো সেটাই আমরা কিনবো।
হিলি বাজরের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন জানান, দুই দিন থেকে ফের মোকাগুলোতে পেঁয়াজের আমদানি কমে যাওয়ার অজুহাতে দাম বাড়ছে পেঁয়াজের। মোকামে কিনতেই দাম বেশি। এরপর আবার পরিবহন খরচ আছে।আমরা মোকামে কম দামে কিন্তু পারলে দুই একটা লাভ রেখে আমরা বিক্রি করে থাকি।
হিলি বাজারের পাইকারী পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, বর্তমানে পাবনার মোকামগুলোতে পেঁয়াজের মানভেদে ২২ থেকে ২৩ শত টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। মোকামেই ২২ থেকে ২৩ শত টাকা মন দরে কিনে আবার পরিবহন ভাড়া আছে। সব খরচ মিলে মোকামেই কিনতে পড়েছে কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা। আমরা কিং জাতের ভালো মানের পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর একটু ছোট সাইজের পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তবে এর মধ্য যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশীয় পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে। আর যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হয় তাহলে দেশীয় পেঁয়াজের দাম আর বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ভারত সরকার অভ্যন্তরীন পেঁয়াজের সংকট অজুহাত দেখিয়ে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর পর থেকে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজের দাম কয়েক দফায় বেড়ে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এর কিছুদিন পর আবারও ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় নামনে পেঁয়াজের দাম। ফের দাম বাড়তে শুরু করেছে দেশীয় পেঁয়াজের দাম।