‘ম্যাড ম্যাক্স’র ইতিহাস চার দশকের। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পায় তাদের প্রথম সিনেমা। একে একে আসে ‘ম্যাড ম্যাক্স টু’ (১৯৮১), ‘ম্যাড ম্যাক্স বিয়ন্ড থান্ডারডোম’ (১৯৮৫) এবং সবশেষ ‘ম্যাড ম্যাক্স: ফিউরি রোড’ (২০১৫)। প্রথম তিন সিনেমায় মেল গিবসন নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। ‘ফিউরি রোড’-এ এসে যুক্ত হন টম হার্ডি, তার সঙ্গে ছিলেন চার্লিজ থেরন। দীর্ঘ বিরতির পর আবার পর্দায় ফিরছে জর্জ মিলারের কাক্সিক্ষত সাইফাই থ্রিলার ‘ম্যাড ম্যাক্স’। এবারের সিনেমার নাম ‘ফিউরিওসা: অ্যা ম্যাড ম্যাক্স সাগা’। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পরিবেশনায় আগামী শুক্রবার আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাবে এটি। একই দিন সিনেমাটি মুক্তি পাঁচ্ছে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও। সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে এই নতুন কিস্তি। রুদ্ধশ্বাস অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার দেখে দর্শকরা টানা ৬ মিনিট দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন। গত ১৫ মে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে প্রতিযোগিতার বাইরে ছিল এর প্রদর্শনী। অস্ট্রেলিয়ার জর্জ মিলারের পরিচালনায় তরুণী ফিউরিওসা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনিয়া টেলর-জয়। এতে খলচরিত্রে দেখা যাবে ক্রিস হেমসওয়ার্থকে। দর্শকদের টানা অভিবাদন পেয়ে অশ্রুসজল দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান এই তারকা। ৬ মিনিটের করতালি শেষে জর্জ মিলার বলেন, ‘আমরা ছবিটির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’ এক তরুণী ফিউরিওসাকে ঘিরে সিনেমাটি আবর্তিত হবে, যাকে গ্রিন প্লেস অব মেনি মাদারস থেকে ফেলে দেওয়া হয় এক ভয়ংকর নারকীয় জগতে। পৃথিবীতে পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসার পর অল্প বয়সী মেয়ে ফিউরিওসাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় লুটেরা বাহিনী। কিন্তু সে হাল ছাড়ে না। বিপজ্জনক শত্রুদের বিপক্ষে অসীম সাহসের সঙ্গে লড়াই করে। তার ঘরে ফেরার রুদ্ধশ্বাস সংগ্রামের কাহিনি নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ফিউরিওসা: অ্যা ম্যাড ম্যাক্স সাগা’।