চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহাগ আহম্মেদ ওরফে কাজী তৌহিদুজ্জামান রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সোহাগ আহম্মেদ ওরফে কাজী তৌহিদুজ্জামান রিপন (৩৬) এর রিরুদ্ধে গত ২০২১ সালের ডিএমপি দক্ষিণখান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা রুজু হয়।
মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি বিজ্ঞ আদালতে হাজির না হয়ে পলাতক হয়। মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম শেষে ঘটনার সাথে আসামীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে গত ২৯-০৩-২৪ তারিখ বিজ্ঞ আদালত আসামি মো. সোহাগ আহম্মেদ ওরফে কাজী তৌহিদুজ্জামান রিপনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড অতিরিক্ত এক লক্ষ টাকা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদানপূবর্ক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সোহাগ আহম্মেদ ওরফে কাজী তৌহিদুজ্জামান রিপনকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ মে র্যাব-৬, সিপিসি-১, সাতক্ষীরা এবং র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধারায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. সোহাগ আহম্মেদ ওরফে কাজী তৌহিদুজ্জামান রিপন যশোর জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকায় অবস্থান করতেছে। ওই সংবাদের প্রেক্ষিতে আসামি কলারোয়া থানার তুলশীডাঙ্গা গ্রামের কাজী শহিদুল ইসলাম ও বিউটি খাতুন দম্পতির ছেলে মো. সোহাগ আহম্মেদ ওরফে কাজী তৌহিদুজ্জামান রিপনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।