অভিনয়ের ব্যস্ততা ছেড়ে এখন রাজনীতির ময়দানে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। প্রথমবারের মতো নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির হয়ে নির্বাচন করছেন কঙ্গনা। মোদির প্রতি বরাবরই নিজের সমর্থন জানাতে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। এবার নির্বাচনী প্রচারে মোদিকে গোলাপ ফুল দিলেন অভিনেত্রী। নির্বাচনী প্রচারে মোদির মান্ডি সফরের একাধিক ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। এদিন একমঞ্চে পাওয়া গেল মোদি ও কঙ্গনাকে। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লাল গোলাপ দিয়ে মান্ডিতে স্বাগত জানালেন কঙ্গনা। গত শুক্রবার কঙ্গনার হয়ে মান্ডি সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন হিমাচলি টুপি ও অফ হোয়াইট শাড়িতে দেখা মিলল পাহাড়ি কন্যার। প্রধানমন্ত্রীর মাথাতেও ছিল হিমাচলি টুপি। ছবির কঙ্গনা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীজি, আমরা আপনাকে মান্ডিতে স্বাগত জানাই।’ এদিন মোদি-কঙ্গনার যুগলবন্দি দেখতে জনসভায় ভিড় উপচে পড়েছিল। নির্বাচনে জয় নিয়ে আশাবাদী অভিনেত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মান্ডি সফরের আগে কঙ্গনা একটি জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন। দেশের উন্নয়নে মোদির কাজের প্রশংসাও করেন তিনি। কঙ্গনা বলেন, ‘বলিউড যখন আমাকে বহিরাগত মনে করত এবং আমার ইংরেজি নিয়ে ঠাট্টা করত। তারপরে, বিশ্বের বৃহত্তম দল, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বিশ্বের বৃহত্তম নেতা, প্রধানমন্ত্রী মোদি মান্ডির মানুষের সেবা করার জন্য এবং তাদের কল্যাণে কাজ করার জন্য আমাকে বেছে নিয়েছেন। এই কাজের জন্য তারা বেছে নিয়েছেন এই পাহাড়ি কন্যাকে। এটা আমাকে গর্ব ও গৌরবে ভরিয়ে দেয়। হিমাচলের সমস্ত মহিলা ও নাগরিকদের পক্ষ থেকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির নির্দেশনায় কাজ করার দিন এসেছে। মোদির প্রশংসা করা ঠিক যেন সূর্যকে মোমবাতি দেখানোর মতো। তিনি যে কারিগরি ও আধুনিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তা অসাধারণ। এখন আমি তার দলের অংশ এবং দলীয় কর্মী হিসেবে মান্ডির উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ এদিকে নির্বাচনে জয় পেলে অভিনয় ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন কঙ্গনা। অভিনেত্রীর করা সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘ইমার্জেন্সি’ এখন মুক্তির অপেক্ষায়। সিনেমাটিতে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমার পরিচালকও তিনি। নির্বাচনের জন্যই মুক্তি পিছিয়েছে ইমার্জেন্সির।