খুলনার ডুমুরিয়ার লতাবুনিয়া-বাশতলা এলাকায় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পোল্ডারের মধ্যে সু-কৌশলে লবন পানি ঢুকিয়ে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী এলাকাবাসী বাঁধা প্রদান এবং লবন পানি অপসারণ করতে যেয়ে উল্টো মামলার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভূক্তভোগী এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত আম্ফান ঘুর্ণিঝড়ে জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার লতাবুনিয়া ও বাঁশতলা গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁড়ি বাঁধ ভেঙ্গে গ্রাম দু'টি সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়।
দীর্ঘ ২বছর যাবৎ গ্রাম দু'টি নদী জোয়ার-ভাটায় প্লাবিত থাকে। সেখানে বসবাসরত মানুষ বাড়ি ঘর ছেড়ে আশ্রায় নেয় খোলা আকাশের নিচে ওয়াপদা রাস্তার উপরে। এ সময় স্হানীয় সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ'র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভেঙ্গে যাওয়া বেড়ি বাঁধ মেরামতে এলজিইডি কর্তৃক প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এলজিইডি ও লতাবুনিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড-এর তত্ববধানে ভেড়িবাঁধের নিচে থাকা পানি সরবরাহের সকল পাইপ অপসারণ পূর্বক বাঁধ সম্পন্ন করে। সংসদ সদস্যের নির্দেশনায় পোল্ডারের মধ্যে লবন পানি প্রবেশ বন্ধ করে স্বাদু পানিতে মৎস্য, বোরো ধান ও সবজি চাষ শুরু হয়। গ্রামবাসীও স্বাদু পানিতে মৎস্য, বোরো ধান ও সবজি চাষ করে সফলতা পেতে শুরু করেছে। এমতবস্হায় ওই পোল্ডারের মধ্যে থাকা জমির মালিক কাপালি ডাঙ্গা গ্রামের সুজিত মন্ডল সু-কৌশলে তার মৎস্য ঘেরে বিষাক্ত লবন পানি প্রবেশ করানোর ফলে পার্শবর্তী জমির মালিকদের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছেন।
এলাকার ভূক্তভোগি সাধারণ মানুষ তাকে লবন পানি উত্তোলন বন্ধ করতে একাধিক বার মিটিং-এ ডাকলেও কমিটির কোন কথায় কর্ণপাত করেন নি তিনি। একপর্যায়ে লতাবুনিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড-এর কমিটির লোকজন জানতে পেরে লবন পানি অপসারণ করতে গেলে সুজিত বাধা প্রদান করে এবং পরবর্তীতে মাছ লুটের অবপাদে কমিটির সদস্যে লতাবুনিয়া এলাকার অসীত মন্ডল,অক্ষিন মন্ডল,সুশীল বালা ও রনজিত মল্লিকসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে খুলনার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর আমলী আদালতে(ডুমুরিয়া) গত ১৮ এপ্রিল তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্যে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ঘেরে লবন পানি ঢুকিয়ে পার্শ্ববর্তি কৃষকদের ফসল নষ্ট কারি সুজিত মন্ডল কর্তৃক নিরীহ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।