দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লিচু চাষিরা তাদের বাগানের গাছ থেকে লিচু পেড়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীদের নিকট। রোববার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে দেশি লিচুর সঙ্গে বেদেনা লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু চলতি মৌসুমে টানা তাপ প্রবাহে লিচুর ফলন ভালো হয়নি। একটি গাছে গত বছর যেখানে অন্তত পাচঁ হাজার লিচু পাওয়া যেতো এবার সে গাছে লিচু আছে দুই থেকে আড়াই হাজার লিচু মিলছে। চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন চড়া দামে লিচু খেতে হবে। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে কাহারোল উপজেলায় ১৪০ হেক্টোর জমিতে লিচু চাষ করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন লিচু বাগানে দেখা যায় টুকটুকে লাল লিচুতে রঙিন হয়ে আছে বাগানগুলো। গাছ থেকে লিচু পাড়তে ব্যস্ত শ্রমিকেরা। বাছাই এরপর ঝুড়িতে সাজিয়ে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা ক্রয় করে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় লিচু পাঠানো হচ্ছে। কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন বাগানে গিয়ে দেখা যায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লা, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালি, ফেনি ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লিচু কিনতে এসেছেন। সরাসরি বাগান থেকে লিচু কিনে সেই লিচু নিজ নিজ এলাকায় পাঠাচ্ছেন। টাকা তাপ প্রবাহে ফলন বির্পযয় এর কথা স্বীকার করলেন। বাজারে লিচুর চড়া দামের পেছনেও উৎপাদন কম হওয়ার কারণ উল্লেক করলেন ব্যবসায়ী ও লিচু বাগান মালিকেরা। বর্তমানে প্রতি এক হাজার লিচু বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে দুই হাজার দুইশত টাকা। বেদেনা লিচু, বিক্রি হচ্ছে প্রতি হাজার লিচু পাচঁ হাজার পাঁচশত টাকা থেকে ছয় হাজার টাকা। দাম বেশি হলেও বাজারে লিচুর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।
কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, প্রাকৃতিক কারণে লিচুর ফলনে বিরুপ প্রভাব পড়লেও বাজারে দাম ভালো থাকায় চাষিদের দুশ্চিন্তায় কিছুই নেই। আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের কেউ লিচুতে লোকসানে পড়বেনা।