পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি শনিবার বিকেলের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। এই গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে শনিবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশালের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ ও ৭ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র। এদিকে, উপকূলীয় অঞ্চলের আওতাভুক্ত জেলা চাঁদপুর হওয়ায় আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। চাঁদপুরে ৩৫৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা হেদায়েত উল্লাহ। জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা জানান, জেলার চরাঞ্চলে চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও মতলব উত্তর উপজেলার দুইটি করে মোট ছয়টি ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ইউনিয়নে বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সতর্কতার জন্য মাইকিং করা হবে। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদে থাকতে বলা রয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় সতর্কতায় চাঁদপুর নৌ পুলিশের মাইকিং-সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় চাঁদপুর মেঘনা নদীর উপকূলে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যার আগে এবং পর থেকে চাঁদপুর লঞ্চটার্মিনাল, পর্যটক, নদীর তীরবর্তী বাসিন্দা ও চর এলাকার জনসাধারনদেরকে চাঁদপুর নৌ থানার পক্ষ হতে সচেতন করার লক্ষ্যে মাইকিং করা হয়। তাছাড়া নৌযান শ্রমিকদেরকে সরকারী নির্দেশনা মেনে নিরাপদে যাতায়াত করাসহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হয়। চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশের এক প্রেসনোটে ওসি কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।