কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার পশ্চিম কুমারপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে বখাটেরা। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা মো. আক্কাছ আলী বাদী হয়ে ১২জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-৩০জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম কুমারপুর গ্রামের আক্কাছ আলীর মেয়ে মঙ্গলবাড়িয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিন মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের নিরব দীর্ঘদিন যাবত তাকে উত্ত্যক্ত বিরক্ত করে আসছে। এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থী ঘটনাটি মাদ্রাসার সুপারের কাছে অভিযোগ করেন। পরে সুপার নিরবকে মাদ্রাসায় ডেকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। এ ঘটনার জেরে গত শুক্রবার বিকেলে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের নিরব (১৯), তারেক মিয়া (১৯), পায়েল মিয়া (১৮), সাজিত (১৭), ইমন মিয়া (১৭), অন্তর মিয়া (১৯), সিজান (১৭), রাকিব মিয়া (১৭), নারান্দী গ্রামের নাজিম উদ্দিন (২০), রবিন মিয়া (১৯), রোমান মিয়া (১৯), বাবু মিয়া (১৮) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০জন রামদা, লোহার রড, লাঠিসোটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আক্কাছ আলীর বাড়িতে হামলা চালায়।
ওই ছাত্রীর পিতা আক্কাছ আলী জানান, হামলাকারীরা আমার দুটি টিনের বসত ঘরের বেড়া, দরজা, জানালা এবং ঘরের ভিতরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এতে আমার ৭০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। এছাড়াও ৩ লাখ ৭ হাজার টাকা ও ১৮ হাজার টাকা মূল্যে একটি মোবাাইল সেট এবং এক ভরি ওজনের ১ লাখ টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় আমিসহ আমার পরিবারের লোকজনকে সুযোগমত পাইলে খুনজখম করিবে মর্মে হুমকি দিয়ে চলে যায় বখাটেরা। আমি প্রশাসনের নিকট এই অন্যায়ের বিচার দাবী করছি।
মঙ্গলবাড়িয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. গোলাম রাব্বানী জানান, আমার মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত অনেক ছাত্রীকে আসা-যাওয়ার পথে বখাটেরা উত্ত্যক্ত করতো। এই ঘটনার বিচার চাওয়ায় বখাটেদের দল এক ছাত্রীর বাড়িঘরে হামলা করেছে। আমি শিক্ষক হিসেবে ওই বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু (পিপিএম) বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।