বগুড়ার শেরপুরের জয়লা আলাদি গ্রামে ৩ ফসলি জমিতে স্কেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে খনন করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে ২৬ মে রোববার বেলা ১১ টার দিকে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় ওইদিন দুপুরে প্রভাষক আবদুল হান্নান সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তারা।
জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জয়লা আলাদি এলাকায় সরকারীভাবে বাঙালী নদী খননের কাজ চলছে। খননের সেই বালু নদীর দুধারে পাড় করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। এমতাবস্থায় অবৈধ বালু ব্যাবসায়ী জয়লা জুয়ান ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আবদুল হান্নান, সাতারা গ্রামের রব্বানী শেখের ছেলে শিপন মিয়া, জয়লা আলাদি গ্রামের মোজাফফর আলীর ছেলে রাশেদ খাঁন, আমজাদ খাঁর ছেলে আবদুল হান্নান খাঁ, মকবুল হোসেন তালুকদারের ছেলে হালিম তালুকদার, জোড়গাছা গ্রামের মোহাম্মাদ মোনসের আলীর ছেলে নান্টু মিয়া নদী খননে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের সাথে যোগসাজশ করে সেই বালু নদী থেকে ৪০০ গজ দক্ষিন-পশ্চিম পাশে গরীব কৃষকের ৩ ফসলি জমিতে রাখার পায়তারা করছে। ইতোমধ্যে জমির মালিকদের না জানিয়েই জমিতে স্কেভেটর দিয়ে খোড়াখুরি শুরু করে দিয়েছে। এতে করে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ কৃষকরা। খোড়াখুড়ি কাজে ভুক্তভোগীরা বাধা প্রদান করলে প্রভাবশালীরা তাদের নানা রকম হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে। এরই প্রতিবাদে ২৬ মে রোববার বেলা ১১ টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানববন্ধন করেছে তারা। পরে একইদিন দুপুরে উল্লিখিত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শুশান্ত কুমার পাল, আবু ছালাম, আবদুস সোবহান, মো. রাসেল ও আবদুল খালেক বলেন, আমরা গরীব কৃষক, জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। জয়লা আলাদি মৌজার ওই এলাকায় আমাদের ১৬৩ শতক ৩ ফসলি জমি রয়েছে। সেখানে বালুদস্যুরা আমাদের জমি অবৈধভাবে দখল করে বালুর ব্যবসা করার জন্য আমাদের না জানিয়ে স্কেভেটর দিয়ে জমি খোড়াখুরি করছে। এতে আমরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হব। সেই সাথে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। বালুদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সুদৃস্টি কামনা করছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদীকে মোবাইলে ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।