নীলফামারীর সৈয়দপুরে শপথ না নিতেই সাংবাদিক আমিরুল হককে হুমকি দিলেন নবনির্বাচিত সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াদ আরফান সরকার রানা। এছাড়াও সাংবাদিককে ভাষা ব্যবহারে বি কেয়ারফুল বলে সতর্ক করেন তিনি। ‘সহানুভূতির ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সৈয়দপুর বিএনপির বহিস্কৃত নেতা’ এই শিরণামে জাতীয় দৈনিকে গত শুক্রবার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতেই রুষ্ট হন বিএনপির ওই বহিস্কৃত নেতা। শনিবার রাতে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে আসেন ওই নেতা। সেখানেই সংবাদ প্রেরক জাতীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধির মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ওই সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে বলেন, আমি সহানুভূতির ভোটে নির্বচিত হয়েছি? ভাষা ব্যবহারে সতর্ক হোন। এর প্রতিবাদে স্হানীয় সংবাদকর্মীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ভবিষ্যতে আমরা তার এ ধরণের আচরণ বরদাস্ত করবোনা। ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা বলেন, আমি এখন মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি। প্রসঙ্গত, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র প্রয়াত আমজাদ হোসেন সরকারের পুত্র বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা রিয়াদ আরফান সরকার রানা গত ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রানা প্রাথমিক শিক্ষা ভারতের দার্জিলিংয়ে ও উচ্চশিক্ষা যুক্তরাষ্ট্রে সম্পন্ন করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। এলাকায় ওই নেতার তেমন কোন পরিচিতি নেই। তিনি নিজেও কাউকে তেমন চিনেন না। সম্প্রতি জেলা বিএনপির কমিটিতে তাঁকে একটি পদে রাখা হয়। মূলতঃ মরহুম বাবার ইমেজেই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বলে নির্বাচনি এলাকায় ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে। আর এমন একটি সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে তিনি হুমকী প্রদান করেন। বর্তমানে ওই নেতার এহেন আচরণে সৈয়দপুরে সাংবাদিক মহলে তীব্র নিন্দার ঝর উঠছে।