বগুড়ায় কাঁঠাল তলায় সড়কের দুপাশে প্রায় পাঁচ ফুট প্রশস্ত ফুটপাত অবৈধ দখলে। এমনকি রাস্তায়ও দোকানপাট বসছে। ফুটপাত দিয়ে পথচারীরা হাঁটতে পারছেন না রাস্তা দিয়েও চলাফেরা কঠিন হয়ে পরেছে। এতে ভোগান্তি বাড়ছে পথচারীদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের কাঁঠাল তলা সড়কের দুপাশে পুরো ফুটপাত দখল করে আপেল-কমলা-আঙুর-পেয়ারা-মৌসুমী ফলমূলসহ নানা ফলের দোকান। ফুটপাতের সামান্য অংশও খালি নেই। সড়কের দুই পাশে কেবলই অবৈধ দোকানপাটের সারি। যেন পুরো বাজার নেমে এসেছে ফুটপাত আর রাস্তায়। পৌরসভার অধিকাংশ ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ ব্যবসায়ীরা। বছরের পর বছর এ অবস্থা চললেও পৌর কর্তৃপক্ষ ফুটপাত দখলমুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে শতাধিক দোকানসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ দোকানই দাঁড়িয়ে আছে ফুটপাত দখল করে। অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানদার সামনের ফুটপাত দখল করে রেখেছে। কেউ বেঞ্চ বসিয়ে আবার কেউ দোকানের মালামাল ফুটপাতের ওপর রেখে এই দখল বজায় রেখেছেন।
স্থানীয়রা জানান, শহরের কাঁঠাল তলার এই জায়গায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সারাক্ষণ পার্ক করা থাকে। ফল ব্যবসায়ীদের কারণে এমনিতেই রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে, তার ওপর এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে এ পথে চলাচল করা দুঃসাধ্য। এ নিয়ে পথচারী ও চালকদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হচ্ছে অহরহ আর পকেটমারের অত্যাচার তো আছেই। এসব অবৈধ দোকানপাটের কারণে সেখানে প্রতিনিয়ত যানজট হয়। মাঝেমধ্যে সেগুলো উচ্ছেদ করা হলেও আবার গড়ে ওঠে। অভিযোগ আছে, পৌরসভার ও পুলিশের কিছু অসাধু ব্যক্তি এসব অবৈধ দোকানপাটের সুবিধাভোগী।
পথচারীরা অভিযোগ করেন, এমনিতেই রাস্তাগুলো অপ্রশস্ত। ভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আর মোটরসাইকেল রাস্তার ওপরই রাখা থাকে। ফুটপাত দিয়েও হাঁটার উপায় নেই। ফুটপাতগুলো দোকানিরা দখল করে রেখেছেন। চলাচলে দারুণ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই দিনের পর দিন এ অবস্থা চললেও পৌর কর্তৃপক্ষ ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে বগুড়া পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম ডাবলুবলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে মাইকিং করে দোকানিদের ফুটপাত ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিই। ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এক-দুই মাস পর পরই অবৈধ দোকান উচ্ছেদও করি। এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। জনগণের অসুবিধা করে আমরা কোনোভাবেই ফুটপাত দখল করে রাখতে দেব না। খুব শিগগির আবার আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান শুরু করব।
এ ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশের (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ভোটের কারণে আমাদের ট্রাফিকের লোকবল কম থাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বেশ কয়েক বার এইসব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু একদিক থেকে তুলে দিলে আরেক দিকে বসে পড়ে। দ্রুত সরেজমিন তদন্ত করে জোড়ালো ভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে।