উত্তরের সীমান্ত ঘেষা উপজেলা নীলফামারীর ডিমলায় গড়ে উঠেছে ভয়াবহ মাদকের অভয়ারাণ্য। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন জাত প্রজাতের মাদক। এতে দিনদিন ধ্বংসের পথে যাচ্ছে শিশু কিশোরেরা। চুরি ছিনতাই, ধর্ষন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপকর্ম বেড়েই চলছে এই উপজেলায়।
প্রতিদিন সকাল হতে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ডিমলা উপজেলা সদরের বিশেষ করে থানার আশপাশ এলাকার শীবমন্দির পাড়া, পোষ্ট অফিস মোড়, টিএন্ডটি রোড, মেডিকেল মোড়সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এমনকি গ্রাম অঞ্চলেও প্রকাশ্যে মাদক কারবারীরা হিরোইন, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাজাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যের রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বিঘ্নে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে সহজলভ্য মাদক। যার কারণে বিশেষ করে ১২ বছর থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশু কিশোরেরা মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
বাড়ীতে অভিভাবকদের সাথে মাদকের টাকা না পেয়ে দুর্ব্যবহার করছে ও মাদকের টাকা জোগাতে সমাজ বিরোধী বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে খুব সহজেই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থানা পুলিশ কতৃক ভয়াবহ নিষিদ্ধ মাদক নিয়ন্ত্রন ও দমনে তেমন কোন ভ’মিকা না থাকায় ভুক্তভোগী অভিভাবকরা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন।
ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অন্যতম সদস্য আবু সায়েম সরকার বলেন, ডিমলা উপজেলায় মাদকের করাল গ্রাসে যুবসমাজ ও শিশুকিশোর ধ্বংসের দারপ্রান্তে। এবং অবৈধ এই মাদকের ছড়াছড়ি উপজেলা জুড়ে হলেও ডিমলা সদরেই বেশি।
আমি এই মাদকের বিষয়ে ডিমলা থানার ওসির সাথে কথা বলেছি। কথা বলে কাজ হয় হয়না এমন অবস্থা। কমে আবার বাড়ে। তিনি আরো বলেন, ডিমলা পরপর দুটি ধর্ষনের ঘটনা, চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে এই মাদক সেবিরাই জড়িত। তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি করছি। এবং এ বিষয়ে শুধু থানা পুলিশ নয় সাংবাদিকদেরও ভ’মিকা রাখতে হবে বলে আমি মনেকরি।
ডিমলা থানা সংলগ্ন শীবমন্দির পাড়ার বাসিন্দা(সরকারী চাকুরীজীবি)নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা এই গ্রামে বসবাস করি। বেশ কিছুদিন হতে দেখছি প্রতিদিন ২৪ ঘন্টাই এখানে মাদক বেচাকেনা হয়। আমরা বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করলে মাদক কারবারিরা বলে, আমরা ডিমলা থানা পুলিশকে মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে ব্যবসা করি। এতে কার কি সমস্যা তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তিনি আরো বলেন, এই গ্রামে একাধিক ডিমলা থানার এসআই কনস্টেবল ভাড়া থাকলেও প্রতিদিন ২৪ ঘন্টাই সিনেমা হলের টিকিটের মত প্রকাশ্যে বিক্রয় করা হচ্ছে এই ভয়াবহ মাদক। বিভিন্ন পুলিশ মাঝেমধ্যে তাদের ধরতে আসলেও মাদক বিক্রেতারা বলেন, আমরা থানায় মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে ব্যবসা করি। আপনার তবুও আমাদের ডিষ্ট্রার্ব করেন কেন। তবে থানার কাকে মাসিক মাসোয়ারা দেন এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন ব্যক্তি বা কর্মকর্তার নাম বলেন না।