ঘূর্ণিঝড় রেমালের তা-বের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দেশের উপকূলীয় এলাকার দেড় কোটি গ্রাহকের সংযোগ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। অনেক স্থানে বিদ্যুৎবিহীন পরিস্থিতি ১২ ঘণ্টা অতিক্রম করেছে, ঝড় থেমে গেলে সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছেন বিদ্যুৎ কর্মীরা।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (প্ল্যানিং অ্যান্ড অপারেশন) বিশ্বনাথ শিকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল পৌনে ১০টার দিকেও উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড় বয়ে যাচ্ছিল।“ঝড়ের কারণে আমরা ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র তুলে আনতে পারিনি। আমাদের কর্মীরা ঝড় থেমে দেওয়ার সাথে সাথে সংযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য প্রস্তুত আছে।”
তিনি বলেন, “এখনো একনাগারে বৃষ্টি আর বাতাস হচ্ছে, বাইরে বের হওয়ার মত পরিস্থিতি নেই। ঝড় থেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র পেতে পারি।”
সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধিকাংশ গ্রাহকের সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে বিশ্বনাথ শিকদার বলেন, “আরো কয়েকটি জেলায় আংশিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে হয়ত দেড় কোটি গ্রাহক এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন।”
উপকূলীয় কয়েকটি জেলার সাগর তীরবর্তী উপজেলাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারে তলিয়ে গেছে বলে জানান পল্লী বিদ্যুতের এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, "এখন এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের লাইন চালু থাকলে জান-মালের ক্ষতি হতে পারে। আবার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদে সেগুলোর ক্ষতি হতে পারে, যা মেরামত করতে অন্তত সাতদিন সময় প্রয়োজন। এসব দিক বিবেচনায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।"