গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের সীমান্ত এলাকায় আকস্মিক ভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে জমির পাট ,তিলক্ষেত ও শাকসবজি। পাহাড়ী ঢলে ভেসে গেছে কয়েক লাখ টাকার খেরের(খড়)পালা।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বাংলাদেশ ও ভারতের বালিয়ামারী বর্ডার হাটটি ডুবে গেছে। এ ছাড়া কালাপানি বিলের উপর সদ্য নির্মিত কাঠের ব্রীজটি ডুবে যাওয়ার যাতায়াতে বিঘ্ন হচ্ছে বলে ্এলাকাবাসী জানান। ঢলের তীব্র স্রােতে বালিয়ামারী ভায়া শিবেরডাঙ্গী ক্ষুদ্র পানি সম্পদ বিভাগের পাকা সড়কটি হুমকিতে রয়েছে।
এ ছাড়া রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষ। যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা ও ভেলা। প্রবল বর্ষণে ধ্বসে গেছে অনেক পাকা ও কাচাঁ রাস্তা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ,কুড়িগ্রাম জেলার ও ভারত ঘেষা বড়াইবাড়ি,পাটদহ,কলাবাড়ি,বারবান্ধা ,চিলিয়ার চর ,বকবান্ধা,খেওয়ার চর ,আলগার চর ,লাঠিয়াল ডাঙ্গা,চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা, শিবের ডাঙ্গী,বালিয়ামারী আদর্শ গ্রাম,বালিয়ামারী ব্যাপারি পাড়া,পূর্ব জালচিড়া পাড়া মিয়াপাড়া, বাউল পাড়াসহ রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলার ২০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী বাজার পাড়ার কৃষক আবদুল আজিজ জানান, ধান কাঁটার পর ধান শুকিয়ে বাড়িতে এনেছি। কিন্তু খ্যার আনতে পারেনি। জমির মধ্যে খ্যার গুলো পালা (টিবা) দিয়ে রেখে ছিলাম। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে আনতে পারিনি। গত রাতে আমার প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার খ্যার পাহাড়ী ঢলের বন্যায় ভেষে গেছে।
বালিয়ামারী গ্রামের কৃষক আবদুস সবুর বলেন,আমার প্রায় লক্ষ টাকার খ্যার ভেসে গেছে। তিনি আও জানান,তারসহ তার গ্রামের মানুষের ২০টি স্যালো মেশিন বন্যার পানির নিচে দেবে গেছে। ঈদ ও বৃষ্টির কারণে মেশিন গুলো খেত থেকে বাড়িতে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চর লাঠিয়াল ডাঙ্গার কৃষক বাদল মিয়া জানান,আকষ্মিক বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে তার ২ বিঘা খেতের পাট তলিয়ে গেছে।
কালাপানি প্রকল্পের মাছ চাষী শাহজাহান আকুল মাষ্টার জানান,তার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ঈদ ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে তার প্রজেক্টের চারপাশে বেড়া /নেট দেওয়া সম্ভব হয়নি।
রাজিবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিরন মো: ইলিয়াস প্রতিনিধিকে জানান, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তার এবং তার এলাকার কয়েক শত মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।