দুই উপজেলার মাঝের নদীর দুই পারের মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

এফএনএস (মোঃ রিয়াজুল ইসলাম; দিনাজপুর) : : | প্রকাশ: ৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০২:০৪ এএম

দিনাজপুরের দুই উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর উপর কোন ব্রিজ না থাকায় ঝুকিতে পার হচ্ছে নদীর দুইপারের কয়েক গ্রামের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। বাশেঁর সাকো দিয়ে দিনের পর দিন ঝুকিতে মানুষ চলাচলের পাশাপাশি আশেপাশের গ্রামের উৎপাদিত পন্য মাথায় নিয়ে পারাপার হয়। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও ব্রিজটি আজও নির্মাণ হয়নি।
অথচ বর্ষার সময় বাঁেশর সাকো নিয়ে বিপাকে পড়ে মানুষ। তখন পন্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ২০ মাইল ঘুরে নবাবগঞ্জ হয়ে বিরামপুর যেতে হয়।
তবে উপজেলা প্রশাসন বলছেন এবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব শিগগিরই ডিপিপিতে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন ও নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝ গেছে নলশীষা নদী। দুই উপজেলার সংযোগস্থল নদীর লালঘাট নামক স্থানে নেই কোনও ব্রিজ। তাই নিজেদের প্রয়োজনে শত শত ভূক্তভোগী মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে পণ্য পরিবহনে হচ্ছে ভোগান্তি। নদীটির দুই পাশে প্রায় ১৭টির মতো গ্রামে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বসবাস। তারা লালঘাটে প্রায় ৬০ মিটার দীর্ঘ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো বানিয়েছেন।

স্থানীয় রবীন সরেনসহ এলাকাবাসীরা জানায়, ভ্যান নিয়ে ধান ও আলু নিয়ে যাওয়ার সময় সাঁকো ভেঙে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা প্রায় ঘটে। এই পথ দিয়ে রতনপুর হয়ে বিরামপুর এবং ফুলবাড়ি থেকে পণ্য আনতে যান তিনি। তবে বর্ষায় হয় বিপত্তি। পুরো সাঁকো ডুবে যায় পানিতে। তখন প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে নবাবগঞ্জ হয়ে বিরামপুর যেতে হয়।
ভ্যানচালক ছদরুল বলেন, বর্ষাকালে এই সাঁকো অচল থাকে। তাই তখন আয় অনেক কমে যায়।
স্থানীয় কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, ব্রিজ না থাকায় উৎপাদিত ফসল মাথায় করে পরিবহন করতে হয়। এতে ভোগান্তি আর খরচ দুটো বাড়ে।
স্থানী শিক্ষার্থীরা জানায়, বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে ভয় লাগে। বর্ষাকালে সাঁকোটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় স্কুলে যেতে সমস্যা হয়।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW