বাজারে রোজার আগেই বাড়ছে অস্থিরতা

এফএনএস: : | প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৪:২৮ এএম

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তবুও দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষত রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, অসাধু চক্র সেগুলো নিয়ে কারসাজি শুরম্ন করেছে। এ সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষ নানা আশ্বাস দিয়েছে; বেশকিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। তারপরও পণ্যের দাম কমছে না; উল্টো বাড়ছে। বাজারে দেখা যাচ্ছে রমজানের আগে চিনি, খেজুর, আলু, পেঁয়াজ, চাল ও ভোজ্যতেল আগের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। যদিও রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের মূল্য সংযোজন কর এবং আমদানি শুল্ক কমিয়ে ক্রেতাদের বোঝা কমানোর উদ্যোগ নেয়। তবে বাজারে এসব উদ্যোগের প্রভাব পড়তে শুরম্ন করেনি। বর্তমানে এক কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়; গত বছর একই সময়ে এর দর ছিল ১১০-১২০ টাকা। ঢাকায় মানভেদে ৫ কেজি ওজনের প্রতি কার্টন খেজুর ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপিও। এছাড়া, প্রকারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। তাছাড়া, বাজারে রান্নায় সবচেয়ে ব্যবহার্য আলু বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। তুলনামূলক সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে মুলা ও পেঁপে ৪০ টাকায়। আর বরবটি ১২০ টাকা, শালগম ৪০, লাউ ৫০-৮০ টাকা প্রতি পিস, শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯৮-২১০, কক মুরগি ২৮৩-৩০০, লেয়ার মুরগি ২৮৫-২৯০, দেশি মুরগি ৫০০, গরম্নর মাংস ৫০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। আর মুরগির লাল ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায় এবং সাদা ডিম ১৩০ টাকা। এতে দেখা যাচ্ছে ভোক্তার জন্য সরকারের দেওয়া শুল্ক ছাড়ের সুবিধা চলে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের পকেটে। যখনই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরম্নদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, তখনই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা আরও বেড়েছে। সংশিস্নষ্ট পণ্যের সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে ভোক্তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। সারবিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এটা স্পষ্ট যে, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে জটিলতা বাড়ছে। কাজেই এসব সমস্যার সমাধানে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজার তদারকি সংস্থার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের আঁতাতের বিষয়টিও খতিয়ে দেখে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW