মান্দায় গৃহবধূর মৃত্যু, শাশুড়ির বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা

এফএনএস (নজরুল ইসলাম; মান্দা, নওগাঁ) : : | প্রকাশ: ৭ জুন, ২০২৪, ০৬:১৩ এএম

নওগাঁর মান্দায় শাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাকুড়িয়া মৎস্যজীবী পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম বন্যা খাতুন (২০)। তিনি কুসুম্বা ইউনিয়নের দেলুয়াবাড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে ও পাকুড়িয়া মৎস্যজীবী পাড়া গ্রামের শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী।

নিহত বন্যা খাতুনের বাবা আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে মেয়ে বন্যা খাতুনকে পাকুড়িয়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে শরিফ উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের সময় জামাইকে ২ লাখ টাকা, ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল ও ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন আসবাবপত্র উপহার দেওয়া হয়েছিল। 

ভুক্তভোগী আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মেয়ে বন্যা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল তার শাশুড়ি জাকিয়া বেগম। এসব নির্যাতন সইতে না পেরে জামাইকে নিয়ে মেয়ে এক বছর ধরে আমার বাড়িতে থেকে ঘরসংসার করছে। 

মেয়ের বাবা অভিযোগ করে বলেন, জামাইয়ের প্রলোভনে পড়ে গত মঙ্গলবার (৪জুন) মেয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে যায়। এরপর থেকে তার শাশুড়ির নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ে বন্যাকে কয়েকদফা মারধর করে তার শাশুড়ি জাকিয়া বেগম। সংবাদ পেয়ে এদিন দুপুরে বড়মেয়ে রুখসানা বেগম সেখানে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। সন্ধ্যার পর মেয়ে বন্যার খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বন্যা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা বাদি হয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে নিহতের শাশুড়ি জাকিয়া বেগম পলাতক আছেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW