উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হলেও জেলার গৌরনদীতে থামছেনা পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের সন্ত্রাসী তান্ডব। পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইখতিয়ার হাওলাদারের বসতবাড়িতে নারকীয় তান্ডবের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে বার্থী ইউনিয়নের দুটি গ্রামে পৃথক এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বাঙ্গিলা গ্রামের শহিদ সরদারের ছেলে শফিক সরদার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে আমি এবং আমার পরিবার কাপণ্ডপিরিচ মার্কার সমর্থক ছিলাম। নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় মোটরসাইকেল মার্কার সমর্থকরা। মঙ্গলবার সকালে পানবরজে কাজে যাওয়ার পথিমধ্যে মোটরসাইকেল মার্কার সমর্থক ধুরিয়াইল গ্রামের শাওন হাওলাদার, নবিন হাওলাদার, তালহা খান, শাহাব হাওলাদার, জাহিদ ফকির, মনির গাজীসহ ৫/৬ জনে আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে বেঁধে রেখে পকেটে গাঁজা ঢুকিয়ে দেয়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
একইদিন দুপুরে উপজেলার রাজাপুর বাজারে পরাজিত প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক ইউপি সদস্য শিমুল সরদার, মোশারেফ ফকির ও আল আমিনের নেতৃত্বে বিজয়ী প্রার্থী মনির হোসেনের সমর্থক রাজাপুর এলাকার সজল সরদার, তানভীর সরদার, টিটু সরদার ও আসাদুল বেপারীর ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া সোমবার রাতে রামসিদ্ধি এলাকায় বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক জুয়েল হোসেনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ সময় পাল্টা হামলায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক আজিজুল হাওলাদার আহত হয়েছে। অপরদিকে উপজেলার চাঁদশী এলাকায় হামলা চালাতে গিয়ে পাল্টা হামলার শিকার হয়েছে পরাজিত প্রার্থীর দুই সমর্থক।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।