ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা গাজীরটেক ইউনিয়নের দক্ষিন চরসুলতানপুর গ্রামে তিন একর (৯ বিঘাত) জমি জুড়ে মৎস্য চাষ শুরু করেছেন পার্শ্ববতী উত্তর চরসুলতানপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বেগ পরিবার। ওই পরিবারের সদস্য ও দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি সামচুল হক বেগ ওরফে পান্নু বেগের উদ্যোগে এ মৎস্য খামার গড়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় শেখ সালাম ও শেখ হালিম নামক আরও দুইজন চাষী ওই মৎস্য খামারের অংশীদার রয়েছে বলেও জানা গেছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, ওই মৎস্য খামারে বাম্পার উৎপাদন ঘটাতে পারলে উপজেলায় মাছের ঘাটতি পূরনে সহায়ক ভুমিকা রাখবে।
জানা যায়, ফসলী মাঠের ধারে পতিত ডোবা জমি সংস্কার করে মৎস্য খামারটি গড়া হয়েছে। এ খামারে রুই কাতলা আইড় সহ বিভিন্ন প্রজাতীর দেশীয় মাছ চাষ হচ্ছে। ওই মৎস্য খামারে রয়েছে তিনটি জলাশয়। সবগুলো জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ চাষ হচ্ছে। এ মৎস্য খামারে কাজ করে এলাকার প্রায় পরেনরটি পরিবার পূনর্বাসন হয়েছে।
মঙ্গলবার মৎস্য খামারে পরিচর্চায় কার্মরত রেজাউল মৃধা জানায়,“ এ খামারের পাশেই রয়েছে পদ্মা নদী। তাই পদ্মা নদী থেকে ধৃত দেশীর আইড় মাছের পোনা, রুই কাতলা ও মৃগেলের পোনা এনে এই খামারে আমরা চাষ করে চলেছি। খাামারটি ফসলী মাঠের ধারে উন্মুক্ত আবহাওয়ার মধ্যে থাকার ফলে মাছের বৃদ্ধি বেশী হচ্ছে। এ খামারে অল্প দিনেই আ্ড়াই কেজি থেকে তিন কেজি ওজনের রুই এবং প্রায় দুই কেজি ওজনের প্রচুর পরিমান আইড় মাছ রয়েছে। সে আরও জানায়, এলাকাবাসীর সহায়তা পেলে অত্র খামারের উৎপাদিত মাছ দিয়েই আমরা উপজেলার মাছের ঘাটতি পূরন করতে পারবো”।
আরেক খামার কর্মী নিখিল বিশ্বাস বলেন,“স্থানীয় কোনো মহল খামারটি বন্ধ করার জন্য ওঁৎ পেতে রয়েছে। তারা স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে প্ররোচিত করছে। কিন্তু আমরা মনে করি, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করে অত্র উপজেলাকে মৎস্য সম্ভারে ভরে দিতে পারলেই আমরা সফল হবো।
একই দিন খামারের মালিক পান্নু বেগের ভাই ফরিদপুর জেলা পরিষদের এক সদস্য ইলয়াছ বেগ নান্নু বলেন,“ গণমাধ্যমের স্থানীয় এক কর্মী সাংবাদিকের নাম ভাঙিয়ে আমার কাছ থেকে ফায়দা লুটতে না পেরে তিনি মৎস্য খামারটি বন্ধ করার জন্য প্রশাসনকে খুঁচিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং আমার নামে ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা খবর প্রচার করে চলেছে। তিনি স্থানীয় সাংবাদিক সমাজকে মৎস্য উৎপাদন কাজে সহায়ক ভুমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন”।