সাতক্ষীরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা সদর থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টাকালে পুলিশ লাটিচার্জ ও ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে। আন্দোলনকারীরাও এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে ৩ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ কমপক্ষে ১৫ জনকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানার সামনে এঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-সদর থানা পুলিশের এএসআই জিল্লুর রহমান, ডিবি পুলিশের এএসআই শাহানুর হোসন ও কনস্টেবল নাদিম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে সাতক্ষীরা চৌরঙ্গী মোড়ে জড়ো হয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে হাসপাতাল মোড় হয়ে সঙ্গীতা সিনেমা হলের সামনে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা নিউমার্কেট মোড় অতিক্রম করে আটককৃত আন্দোলনকারীদের ছাড়িয়ে নিতে সাতক্ষীরা সদর থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের ওপর লাটি চার্জ ও ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে শহীদ আবদুর রাজ্জাক পার্কসহ বিভিন্ন স্থান থেকে কমপক্ষে ১৫ জন আন্দোলনকারীকে আটক করে পুলিশ।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মহিদুল ইসলাম ইসলাম জানান, আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমম্বয়কারী ইমরান হোসেন জানান, গতকাল রাত থেকে এপর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ জন আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য থানায় যাওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।