কারফিউ শিথিল হওয়ায় ব্যাংক, অফিস-আদালতের পাশাপাশি দোকানপাট খোলায় নগরবাসীসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বৃহস্পতিবার সারাদিন বরিশালে কারফিউ শিথিলের সময় আরও বাড়ানো হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জিহাদুল কবির জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার নগরীতে ভোর ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এবং নগরীর বাহিরে জেলার উপজেলাগুলোতে ভোর ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনদীপ ঘরাই বলেন, বরিশালের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই কারফিউ শিথিলের সময় বৃহস্পতিবার থেকে তিনঘন্টা বাড়ানো হয়েছে। এর আগে বুধবার নগরীতে কারফিউ শিথিল ছিলো সকাল নয়টা থেকে বিকেল ছয়টা ও উপজেলা পর্যায়ে ছিলো সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী বলেন, বরিশাল ছাড়াও বিভাগের বাকি পাঁচটি জেলায় বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। মানুষের দৈনন্দিন কাজের সুবিধার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, জনজীবনের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিটি টিমে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, কারফিউ শিথিল করার পর থেকে নগরীসহ উপজেলাগুলোতে প্যাডেল রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলার চলাচল স্বাভাবিক নিয়মে শুরু হয়েছে। একইসাথে জেলার অভ্যন্তরে এবং দুরপাল্লার বাস চলাচলও শুরু হয়েছে আগের নিয়মে। সবমিলিয়ে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল বেড়েছে কয়েকগুণ। বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত পরিসরে বুধবার বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে ছোট লঞ্চ চলাচল করেছে। বৃহস্পতিবারও একইভাবে লঞ্চ চলাচল করছে। তবে সন্ধ্যা ছয়টার পর কারফিউ কঠোর থাকায় ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল করেনি। উল্লেখ্য, কারফিউ শুরুর পর গত শনিবার থেকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা দোকান-পাটসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করেছে। যদিও বরিশালের সর্বত্র ইন্টারনেট ব্যবস্থা সচল না হওয়ায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম সঠিকভাবে করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া কারফিউ শিথিল থাকলেও এ সময়ে কোনো ধরনের মিছিল-সভা, সমাবেশ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জিহাদুল কবির ও জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।