দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার গ্রামীণ রাস্তাসহ বাড়ীর আশেপাশে একসময় শিমুল গাছ ছিল কৃষকের উঠানে। কালের বিবর্তনে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ। একসময় রক্তলাল শিমুল ফুলের ছড়াছড়ি ছিলো কাহারোল উপজেলার রাস্তা-ঘাটসহ বন-বাদড়ে। শীতের বিদায়লগ্নে শিমুল ফুলের পাঁপড়িতে রঙিন হয়ে উঠত প্রকৃতি। জানান দিতো ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের কথা।
গ্রাম বাংলার সেই রূপটি যেন ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি থেকে। এখন দেশে অনেক ফুলের দেখা মিললেও চোখে পড়ে না সেই চোখ ধাধানো গাড় লাল রঙের শিমুল ফুল। বছর পনেরো আগেও গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে কানাচে বা রাস্তার পাশে শিমুল গাছ দেখা যেত কিন্তু এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না। কেটে ফেলা আর বীজ বপন না করায় শিমুল গাছের অস্তিত্্বই এখন হুমকির মুখে। ব্যাপকহারে কমে গেছে এই গাছটি। বর্তমানে মানুষ এই গাছকে তুচ্ছ মনে করে কারণে অকারণে কেটে ফেলছে। আগামী দশ-পনেরো বছরে নতুন প্রজন্ম গাছটিকে একেবারেই হারাবে।
শিমুল গাছ উজাড় হওয়ার ফলে পরিবেশের উপর পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব । এ গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় কাক, কোকিল , চিল, বকসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি বাসা বেধে বসবাস করত। এই গাছ উজাড় হওয়ার ফলে এসব পাখিরা আবাস স্থল হারিয়ে ফেলেছে অস্তিত্ব সংকটে। গাছ না থাকায় আবাস স্থলের অভাবে ধীরে ধীরে এসব পাখিরাও হারিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, একসময় উপজেলায় অনেক শিমুল গাছ দেখা যেত শিমুল গাছের ডালে ডালে লাল ফুল যেন প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলতো কিন্তু শিমুল গাছ কেটে ফেলার কারণে প্রকৃতি যেন তার রূপ হারিয়ে ফেলেছে। উপজেলার নয়াবাদ গ্রামে নিখির চন্দ্র রায় (৭০) বলেন, প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুললে ব্যাপকভাবে আমাদের শিমুল গাছের চারা রোপন করা উচিত।