বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন যে, আগামী জাতীয় নির্বাচন দেরিতে করতে কূটকৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়বে এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি হবে।
রোববার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে সরকার কী করবে তা জনগণের সামনে স্পষ্ট হওয়া উচিত। তিনি বলেন, যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তবে এই প্রস্তুতি জনগণের সামনে দৃশ্যমান নয়। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, দেশে অস্থিতিশীলতা তত বাড়বে এবং স্বৈরাচারী শক্তির উত্থানের সম্ভাবনা তৈরি হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফ্যাসিবাদ মোকাবিলার জন্য কেবল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না, বরং রাজনীতির মাধ্যমেই ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত করতে হবে। তিনি বলেন, যে কোনো স্বৈরাচারী সরকার রাজনৈতিক প্রতিরোধের মাধ্যমে পরাস্ত হয়, কেবল দমন-পীড়নের মাধ্যমে নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, সংস্কারের প্রথম প্রস্তাব বিএনপির পক্ষ থেকেই এসেছে এবং এই প্রস্তাবের সঙ্গে সরকারের কমিশনের খুব বেশি পার্থক্য নেই। তিনি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন এবং সরকারকে নির্বাচন-সংক্রান্ত রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে।
রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না থাকলে, সরকার তার ভালো কাজগুলোরও স্বীকৃতি পাবে না। তিনি বলেন, জনগণের দৈনন্দিন সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।