মুক্তাগাছায় ইউএনওর বিচার চেয়ে পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

এফএনএস (মোঃ ফেরদৌস; মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ) : | প্রকাশ: ৪ মার্চ, ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম
storage/2025/march/04/news/80167c6cb15937ab.jpg

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে চালককে মারধরের অভিযোগ এনে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ইসলাম পরিবহনের শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘন্টা ব্যাপি বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

এসময় তারা মুক্তাগাছা শহরের পূরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে বড়হিস্যা বাজার পর্যন্ত ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আড়াআড়িভাবে ইসলাম পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেডের বাস রেখে অবরোধ সৃষ্টি করে। একদল শ্রমিক পূরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলামের শাস্তির দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম শহরের পূরাতন বাসস্ট্যান্ড মোড়ে এসে দেখতে পান মুক্তাগাছা থেকে ঢাকাগামী স্থানীয় ইসলাম পরিবহনের বাস নির্ধারিত স্টেশনের বাইরে শহরে মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র পার্কিংকের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। তখন তিনি সেখান থেকে দ্রুত গাড়ী সরিয়ে নিতে বলেন। এক পর্যায়ে চালকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় ভুলু(৫০) নামের ইসলাম গাড়ীর একজন চালককে লাঠি দিয়ে মারধর করেছে বলে দাবী করেন বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা । পরে আহত ভুলুকে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আহত চালক ভুলু জানান, তিনি ভাবকির মোড় থেকে বাস নিয়ে শহরের পূরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা আসলে সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম তাকে গাড়ী রাস্তা থেকে সড়িয়ে নিতে বলেন। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়। তার অভিযোগ ইউএনও নিজেই তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন। ভুলু ঐসময় রোজাদার দাবী করে ইউএনওর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেও তাকে মারধর করা হয়।

এর প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ইসলাম পরিবহনের শ্রমিকরা গাড়ী নিয়ে এসে রাস্তায় এ্যালোপাথারিভাবে রেখে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় দুই পাশে যানবাহন আটকা পড়ে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। রমজানের দিনে জনসাধারণ ভোগান্তির শিকার হন।

পরে মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন, ময়মনসিংহ থেকে সেনা সদস্যরা এসে স্থানীয় পরিবহন সেক্টরের নেতা ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন। পরে বেলা ১২টার দিকে প্রশাসনে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন, মুক্তাগাছা শহরে ব্যাপক যানজটের কারণে জনভোগান্তি হয়। সেজন্য ইসলাম পরিবহনকে নির্দিস্ট টার্মিনালে রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারা যত্রযত্র গাড়ী রেখে যানজটের সৃষ্টি করে সেজন্য ইসলাম পরিবহনকে নির্দিষ্ট টার্মিনালে যেতে হবে। চালককে মারধরের ঘটনা মিথ্যা বানোয়াট ও সাজানো বলে তিনি দাবী করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে