কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও নিকলীতে প্রশাসনের ভয়ে মাটি খেকোরা বর্তমানে দিনের পরিবর্তে গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত কৃষি জমির উপরিস্থল কেটে নিয়ে যাচ্ছে হাওরকে হাওর। এর ফলে মাটির উপরিভাগ টপসয়েল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছেন বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে বাজিতপুর উপজেলার সরারচর, হিলচিয়া, কৈলাগ ইউনিয়নের একাংশ ও মাইজচর ইউনিয়নের বাহেরবালী নোয়াহাটা হাওরে নদীরপাড়ের সরকারি জমি ও কৃষকের জমি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এসব মাটি খেকোদের ভয়ে এলাকাবাসী কথা বলতে পারছে না। এরা নাকি দল পরিবর্তন করে বর্তমানে কোন এক দলের হয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সেই মাটি যাচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন ইট খলার মধ্যে। এদিকে নিকলী উপজেলার ছাতিরচরসহ এই ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওরের মাটি অন্যত্র চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে কুলিয়ারচর উপজেলার সালুয়া, আগরপুর, বড়খারচর, ছয়সূতি গত সরকারের আমলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে খাল কাটার কর্মসূচির মাটিগুলো বেকুর মাধ্যমে কেটে ট্রাক দিয়ে উজার করে নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে মাটি খেকোরা এ সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না বলে তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।