প্রায় ছয় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১৩ কোটিরও বেশি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ কমিশনের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দিনাজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে মোট ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
এই সম্পদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, যার সুনির্দিষ্ট উৎস বা উপযুক্ত ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। ফলে তা ‘অবৈধ সম্পদ’ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
এছাড়া, খালিদ মাহমুদের নামে থাকা ১১টি ব্যাংক হিসাব এবং ৫টি ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ১৩ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৫১০ টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে, যা সন্দেহভাজন ও অসাধু উৎস থেকে আসা অর্থ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুদক।
এই মামলায় খালিদ মাহমুদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা; দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা; এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই ধারাগুলোর অধীনে প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে, যার মধ্যে জেল ও জরিমানা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।
দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উচ্চপদে থাকা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যখন অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আসে, সেটি রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।