চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুরে মধ্যরাতে ইউনিয়ন বিএনপির সাধরণ সম্পাদকের (ভারপ্রাপ্ত)কবির হোসেন বেপারী (৫২)ওপর হামলা করা হয়েছে। তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। রবিবার (১৩ এপ্রিল -২০২৫) রাত আড়াইটার দিকে আহত কবির হোসেন বেপারীর নিজ বাড়ি এখলাছপুর(কালিগাছতলা) এ ঘটনা ঘটে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কবির হোসেন বেপারী কে পুলিশ উদ্ধার করে রাতেই দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।
জানা যায়, ১৩ এপ্রিল রবিবার রাত আড়াইটার দিকে এখলাছপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেনকে তার বাড়ীর সামনে আগ থেকেই ওৎ পেতে থাকা ১৫ থেকে ২০ জন লোক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে তাকে মারাত্মকভাবে জখম করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে এসময় মুখোশপড়া অবস্থায় হামলাকারীদের একজনকে স্থানীয়রা আটক করতে সক্ষম হয়। জোর করে মুখোশ খোলার পর দেখা যায়, আটক হওয়া ব্যাক্তি স্থানীয় পশ্চিম এখলাছপুর গ্রামের গোলাম হোসেন বেপারীর ছেলে আর্শাদ বেপারী।
কবির হোসেনের প্রতিবেশী প্রত্যক্ষদর্শী হেলাল প্রধানের ছেলে রাজিব প্রধানের সাথে কথা হলে সে জানায়, আমি আর আহত কবির প্রধান কাকা একসাথে গজরা এলাকায় বৈশাখী পালাগানের অনুষ্ঠান দেখতে যাই। বাড়ী ফিরতে রাত আড়াইটার মতো বেজে যায়। বাড়ীতে ঢ়ুকার সময় এখলাছপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির কাকার ওপর ১৫/২০জন লোক হামলা করে। এসময় তারা চায়নিজ কুড়াল দিয়ে কবির কাকারে এলোপাথারি কোপায়। রড আর লাঠি দিয়াও ইচ্ছে মতো পিটায়। আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে আমরা হামলাকারীদের প্রত্যেককেই চিনি।
কবির হোসেন বেপারীর স্ত্রী বিইটি আক্তার জানায়, আমার স্বামীর ডাক চিৎকারে আমরা গিয়া দেহি বিল্লাল প্রধান আর রাসেল মল্লিকে আমার স্বামীরে মারতাছে। আমার স্বামীরে বাঁচাইতে ওগো হাতে পায়ে ধরলে তহন রাসেল মল্লিক আমার ওপরেও হাত তোলে। বাকি সবাই দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। ওরা আমার স্বামীরে জানে মাইরা ফালাইতে চাইছিল।
এ বিষয়ে কথা হলে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হক জানায়, রাতেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত একজন আটক আছে। আর হামলার বিষয়টি স্থানীয় একটি বরোপিট (মাছ চাষের পুকুর) দখলকে কেন্দ্র করে বলে ধারনা করা হচ্ছে।