চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালী থানার নিউমার্কেট এলাকায় সকালে দখলমুক্ত করে যাওয়া ফুটপাত সন্ধ্যা হতেই ফের দখল হয়ে গেছে। ভ্রাম্যমাণ হকাররা তাদের পসরা নিয়ে দোকান খুলে বসেন। ওই উচ্ছেদের পর যে রাস্তায় স্বস্তিতে হাঁটছিলেন পথচারীরা সেটি ফের দখলে নিয়েছে হকাররা। হকাররা এর আগেও এমন ধরনের কাজ করেছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এত অনুরোধ করার পরেও কোনো কাজে আসেনি।
হকাররা কোন ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেনা। রোববার সকাল থেকে নিউমার্কেটের সড়ক ও ফুটপাত হকারমুক্ত করতে ব্যবস্থা নেয় সিটি কর্পোরেশন। এর কিছুক্ষণ পর মেয়র ডা. শাহাদাত গিয়ে দখলমুক্ত ফুটপাত পরিদর্শন করেন। ওই মুহুর্তে তিনি ঘোষণা দেন ‘শহর হবে পরিচ্ছন্ন’। কিন্তু সন্ধ্যা নামতেই সেই পুরোনো চেহারায় ফিরে যায় নিউমার্কেট এলাকা। আজ সোমবারও সেখানে একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, সারি সারি চৌকি বিছিয়ে হকাররা দখলে নিয়েছে ফুটপাত পুরোটাই । অনেকে চৌকির সঙ্গে ছোট বাঁশ টাঙিয়ে সীমানা দিচ্ছেন। আবার অনেকে শার্ট, প্যান্ট, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিছিয়ে রেখেছেন আর ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে হাকডাক করছেন। কয়েকজন পথচারী অভিযোগ করে বলেন, নিউমার্কেটে রাস্তাগুলো হকারদের কারণে সরু হয়ে যাওয়ায় হাঁটা যায় না। সকালে দেখলাম অভিযান হলো। ফুটপাত ফাঁকা হলো, কি স্বচ্ছন্দে সবাই চলাচল করেছি। কিন্তু সন্ধ্যা নামতেই তার চেয়েও বেশি জমজমাট হয়ে উঠে ফুটপাতগুলো। পরিকল্পনা না থাকলে লোক দেখানো অভিযান বেশিক্ষণ টেকে না। এর আগেও ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং নগর বাসির দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
জলসা মার্কেটসহ রিয়াজউদ্দীন বাজার এলাকার দোকানিরা জানান, হকারদের কারণে ক্রেতারা তাদের দোকানের সাইনবোর্ড দেখতে পান না। তবে অভিযান চালিয়ে লাভ কি হলো, আবারও ফুটপাত দখলে নিয়েছে হকাররা। সকালেই হকারমুক্ত হয়েছিল, যার ফলে আমাদের দোকানগুলো রাস্তার ওপাশ থেকে দেখা যাচ্ছিল। দোকানে সরাসরি ক্রেতা আসতে শুরু করেছিল, কিন্তু সন্ধ্যা নামতেই আবার ফুটপাত দখলে চলে গেছে। এমন করে তো ব্যবসা চলে না। আমরা লোকসান দিয়েই যাচ্ছি।