রমনা বটমূল বোমা হামলার রায় ৮ মে: হাই কোর্টে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:২৬ পিএম
রমনা বটমূল বোমা হামলার রায় ৮ মে: হাই কোর্টে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনের সময় রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় হাই কোর্টে রায় ঘোষণা হবে আগামী ৮ মে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চ এ দিন রায় ঘোষণা করবেন।

এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ঢাকার জজ আদালত ২০১৪ সালের ২৩ জুন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এরপর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল হিসেবে হাই কোর্টে আসে।

আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন আদালত। বুধবার মামলাটি আদালতের কার্যতালিকায় ওঠার পর রায়ের তারিখ ৮ মে ধার্য করা হয়।

হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন: মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আব্দুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান। এর মধ্যে সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নানের ফাঁসি ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল কার্যকর হওয়ায় তার নাম হাই কোর্টের এ মামলার বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছে।

হামলার পর দিনই নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। প্রায় আট বছর পর, ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন এবং হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। এ হামলা বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে বিবেচিত হয়।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সরওয়ার আহমেদ এবং শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান।

উল্লেখ্য, হত্যা মামলার বিচার শেষ হলেও বোমা বিস্ফোরক সংক্রান্ত মামলাটি এখনো ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে