জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি অবশেষে মেনে নিয়েছে ছাত্রদের অন্তর্বর্তী সরকার। এই খবর যেমন বোতলকাণ্ড’র পর দেশবাসীকে যেমন আনন্দিত করেছে, তেমনই এ বছর ‘এসএসসি পরীক্ষায় নিবন্ধিত প্রায় পাঁচ লক্ষ শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি’ খবরটি ব্যথিত করেছে। তার উপর আবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পরেছে প্রায় ১৫ লক্ষ শিক্ষার্থী। প্রাসঙ্গিক কারণেই বলতে হচ্ছে স্বাধীনতার ৫৪ বছরে রাজনৈতিক দল ও ক্ষমতাসীনদের উদাসীনতা-দুর্নীতির কারণে শিক্ষা কাঠামো ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। সেই ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্টের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেও শিক্ষা কাঠামো অযত্ন-অবহেলায় ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হচ্ছে এক এক করে, কলেজগুলোতে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না, মাদ্রাসা বা ধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আন্দোলনের হিড়িক চলছে ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে। এমনকি চলতি বছরের সাড়ে চার মাস চলছে। অথচ এখনও দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই যায়নি। আবার অনেকের হাতে বই গেলেও তারা আংশিক পেয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বই পাওয়ার দিক থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে থাকলেও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। যদিও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বলছে- এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ কোটির বেশি বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৮ কোটির বেশি বই শিক্ষার্থীদের হাতে গিয়েছে। আর প্রায় দুই কোটির মতো বই এখনও শিক্ষার্থীদের হাতে যায়নি। এর সিংহভাগই মাধ্যমিক পর্যায়ের। সেই হিসাবে এখনও প্রায় ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বই পায়নি। এমন বাস্তবতায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব বই না পৌঁছার কারণে বেশকিছু বিষয়ে এখনও পড়ালেখা শুরু করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। এতে শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নে জটিলতার পাশাপাশি শিখন ঘাটতিসহ নানান ভবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা। কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার চার হাজারেরও বেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থী চলতি বছরের পঞ্চম মাসেও কোনো বই পায়নি। এ নিয়ে অভিভাবকরা শিশুদের শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। একজন নিবেদিত শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি উদ্বিগ্ন হয়ে আছি। কারণ বইহীন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের জীবনে নেমে আসছে অন্ধকার। শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাময় শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষের পাঁচ মাস অতিবাহিত হতে চলছে। আগামী মাসে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা অনুষ্ঠানে বোর্ডের নির্দেশনা রয়েছে। পাঠ্যপুস্তক ছাড়া কী শিক্ষা নিয়ে শিশুরা পরীক্ষায় অংশ নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপার কাজ এবার দেরিতে হলেও সেই কাজে গতি দিতে পারেনি এনসিটিবি। এনসিটিবির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্য নতুন হওয়ায় তাদের সবকিছু বুঝে উঠতে সময় লেগে গেছে বেশি। নভেম্বর থেকে বই ছাপা শুরু করলেও এখনও তা শেষ হয়নি। এছাড়া বই ছাপানোর কাগজের এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে জানুয়ারি থেকে বইমেলা ও সহায়ক নোট-গাইড ছাপানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাঁধাই শ্রমিকরা। এতেও এক ধরনের সংকট তৈরি হয়। শেষ সময়ে এসে বিদেশ থেকে কাগজ আমদানির উদ্যোগ নেয় এনসিটিবি। ফলে এনসিটিবির নানা অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও ধীরগতির কারণে শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নতুন বছরে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিপুল সংখ্যক বই ছাপতে প্রথমে ১২০০ কোটি টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫০ কোটি টাকা। গত বছর নতুন বই ছাপার খরচের চেয়ে তা ৩৫০ কোটি টাকা বেশি। এবার প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩ হাজার ২৮৩ শিক্ষার্থীর জন্য ৯৬৪ লটে ছাপা হবে ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ কপি বই। এর মধ্যে প্রাথমিকের ২ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৯ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৪৯২ কপি বই। অন্যদিকে মাধ্যমিকের ২ কোটি ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৪ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার ৮৪৭ কপি বই। এর মধ্যে ইবতেদায়ি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বইও যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্রেইল বই রয়েছে সাড়ে ৮ হাজার। নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপানোর জন্য শেষ মুহূর্তে কাগজ আমদানি করে এনসিটিবি। এ ধরনের উদ্যোগ আগে নিলে এই সমস্যা কেটে যেত। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতিও কম হতো। কিন্তু কেন নেয়া হয়নি উদ্যোগ? কারণ একটাই- যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করেছে শিশু-কিশোরদেরকে। যাতে করে ‘রেমিটেন্স যোদ্ধা’র আড়ালে লক্ষ লক্ষ অদক্ষ-অশিক্ষিত বেকারদেরকে বিদেশে পাঠানোর রাস্তাটা প্রশস্ত হয়। যাতে একটা বড় শ্রেণির কিশোরী-যুবতীকে ‘বিয়ে’র মাধ্যমে অশিক্ষিত ‘মা’ তৈরির পাশাপাশি গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিক বৃদ্ধি হয়। আর এই শ্রমিকশ্রেণিকে নিজেদের মত করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যখন তখন এনে নিজেদের জনবল বেশি প্রমাণ করতে পারে। তার সর্বশেষ প্রমাণ হিসেবে বলতে পারি- ৩৬ জুলাইয়ের পর নতুন গঠিত ২৬ টি দলসহ বিভিন্ন প্রেশার গ্রুপে যারা অংশ নিচ্ছে, তারাও শিক্ষা থেকে ঝরে পরছে, চাকুরি বা ব্যবসাতেও তারা নেই। হয়ত এই সব দলের নেতাদের মধ্যে তানভীর যেমন সিন্ডিকেট করেছে, তেমন নতুন বেশ কিছু সিন্ডিকেটের কারণে এবার বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপাতে সরকারের গচ্ছা গেছে বিপুল টাকা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৩৯ কোটি ৬০ লাখ বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপাতে দুই সিন্ডিকেট দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি লুটপাট করেছে। তার মধ্যে ছাপাখানাগুলোর সিন্ডিকেট দরে সরকারের অতিরিক্ত প্রায় ৮০০ কোটি টাকা গচ্চা এবং কাগজ মিল মালিকরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কাগজের দাম বাড়িয়ে ৩৪৫ কোটি টাকা হাতিয়েছে। পাশাপাশি এক শ্রেণীর ছাপাখানা সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিম্নমানের কাগজে প্রায় ২০ ভাগ পাঠ্যবই ছাপিয়ে সরবরাহ করেছে। তার মাধ্যমে ওই সব মুদ্রাকররা ৩৫৫ কোটি টাকার অধিক মুনাফা করেছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি দরে এবার প্রেস মালিকরা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর) অনুযায়ী বই ছাপার কাজ বাগিয়ে নেয়। প্রতিটি প্রেস মালিকরা প্রাক্কলিত ব্যয়ের থেকে ১৯ দশমিক ১, ১৯ দশমিক ২ কিংবা ২০ শতাংশ বাড়িয়ে টেন্ডার জমা দেয়। আর প্রায় ৪০ ভাগ টেন্ডারে একজনের বেশি টেন্ডার জমা দেয়নি। মূলত প্রেস মালিকদের সিন্ডিকেট স্বল্প সময়ে কাজের চাপ বেশি থাকার সুযোগ নিয়েছে। ফলে সিন্ডিকেট সম্পর্কে বুঝতে পারলেও এনসিটিবি দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। যদিও প্রেস মালিকদের অজুহাত, বাজার দর বেড়ে যাওয়ায় তাদের তেমন করণীয় ছিল না। অভিযোগ রয়েছে, যে-সব প্রেস বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপার কাজ করে, সেগুলোর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান মালিকই সাবেক সরকারের সময়ে সিন্ডিকেট করে দরপত্রে কম দর দিয়ে বইয়ের কাজ বাগিয়ে নিতো। তারপর দিতো নিম্নমানের কাগজের বই। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সব প্রেস মালিকই একজোট হয়ে যায়। বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবি অনুমোদিত ১১৬টি প্রেস রয়েছে। গত বছর যেখানে নতুন পাঠ্যবই বাবদ প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। এবার সেখানে ২ হাজার কোটির বেশি খরচ হয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, শিক্ষিত প্রজন্ম হলে কি আর যখন তখন যা খুশি তা বুঝিয়ে রিক্সাওয়ালা-গার্মেন্টস শ্রমিক বা অন্য ক্ষুদ্র পেশার কাউকে আন্দোলনে নামানো যাবে? যাবে না। হয়ত সে কারণেই শিক্ষা ধ্বংসের পাশাপাশি সিন্ডিকেট-দুর্নীতিও সমানতালে চালিয়ে গেছে চুয়ান্ন বছরের সকল সরকার। এই সরকারও ব্যতিক্রম নয়, যে কারণে বিনামূল্যের বই ছাপাতে প্রেস মালিকরা এবার সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে। বই ছাপানোর ক্ষেত্রে সময় কম থাকায় ফের দরপত্র করার মতোও সুযোগ না থাকার কারণে প্রেসগুলোকে প্রতিটি শ্রেণিতে ২০ শতাংশের মতো বেশি দামে কাজ দিতে হয়েছে। তাতে ধারণার চেয়ে প্রায় ৭৮৩ কোটি টাকা বেশি দিতে হয়েছে। তাছাড়া পুরোনো কারিকুলামে ফিরে যাওয়ার ফলে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে অনেক পরিবর্তন আসে। টেন্ডারের সব শর্ত মেনে পাঠ্যবই ছাপার ঠিকাদারি নিলেও কাগজের পুরুত্ব (মোটা), ব্রাইটনেস (উজ্জ্বলতা) ও টেকসই ক্ষমতা (বার্স্টিং ফ্যাক্টর) কিছুই প্রায় ২০ ভাগ পাঠ্যবইয়ে মানা হয়নি। নিম্নমানের কাগজে বই ছাপতে গিয়ে গত দুটি প্রেস ৫ ডিসেম্বর হাতেনাতে ধরা পড়ে। তাছাড়া অপেক্ষাকৃত ছোট প্রেসগুলো নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই বেশি ছাপিয়েছে। তবে নিম্নমানের কাগজের বিষয়ে যাদের সম্পৃক্ততা ছিল তাদের অর্থ ছাড় বন্ধ রাখা হয়েছিল। তাছাড়া নির্ধারিত সময়ে বই না দেয়ার কারণে এবার ২৬টি ছাপাখানা কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে অজানা কারণে বিল ছাড় এবং কালো তালিকাভুক্ত থেকে ওসব প্রতিষ্ঠানকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বিনামূল্যের বই ছাপাতে এবার যদিও বিশেষ ব্যবস্থায় কাগজ আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলোর অধিকাংশ খোলা বাজারে বিক্রি করে এক শ্রেণীর ছাপাখানার মালিক নিম্নমানের কাগজে বই ছাপিয়েছে বলেও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অন্য কেউ কি ভেবেছে জানি না। আমি ভেবেছিলাম- এবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে ফ্যাসিস্ট সরকারের যেহেতু পতন এসেছে, সেহেতু অন্তত আগের সরকারগুলোর মত দুর্নীতি হবে না। কিন্তু বিধিবাম আমার সকল ভাবনাকে খাদে ফেলে দিয়ে কাগজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এবার ৩৪৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কাগজের মূল্য না বাড়লেও চলতি বছর দেশের কাগজের মিল মালিকরা পাঠ্যবই ছাপানোর মৌসুমে কাগজের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি করে। গত ডিসেম্বরে হঠাৎ করে প্রতি টন কাগজের মূল্য ৩০ হাজার টাকা বাড়ে। ৩৯ কোটি ৬০ লাখের বেশি পাঠ্যবই ছাপাতে প্রয়োজন ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার টন কাগজ। ওই হিসাবে কাগজ মিলের মালিকরা ওই বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়। আবার বেশি দাম দিয়েও পাঠ্যবই ছাপানোর দায়িত্বে থাকা দেশের ১১৬ ছাপাখানা চাহিদা অনুযায়ী কাগজ পায়নি। যে কারণে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। কাগজ সংকটের কারণে অধিকাংশ ছাপাখানা টানা তিন মাস প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা ছাপা বন্ধ রেখেছিল। এত কিছুর পরও যখন কিছু বই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছেছে, তখন একজন শিক্ষক হিসেবে বই হাতে নিয়ে দেখেছি- নিউজপ্রিন্ট কাগজের ছাপা বইয়ের অনেক পৃষ্ঠায় কালি লেপ্টে আছে। পাঠ্যবইয়ে স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে অযত্নের ছাপ। এমন একটা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে আসন্ন বাজেটে ‘শিক্ষায় বাজেট বৃদ্ধি’ করতে হবে। যেই বাজেটের পর প্রথম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ ও পাঠ্যবইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বায়ান্ন-একাত্তর-চব্বিশের পর কোনো আন্দোলন নয়, সুশিক্ষায়-প্রযুক্তিতে। সেখানে যেন কোনো সিন্ডিকেট না থাকে, না থাকে কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা বা দলীয় পদক্ষেপের পথ...
লেখক: মোমিন মেহেদী; চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি