বাঘায় বাস চাপায় পা বিচ্ছিন্ন মেয়ে ও আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে পিতার দাফন

আমানুল হক আমান; বাঘা, রাজশাহী | প্রকাশ: ২০ মে, ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
বাঘায় বাস চাপায় পা বিচ্ছিন্ন মেয়ে ও আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে পিতার দাফন
রাজশাহীর বাঘায় স্কুলে যাওয়ার পথে বাস চাপায় পা বিচ্ছিন্ন মেয়ে ও আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে পিতা জাহেদুল ইসলাম শান্তর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টায় বেড়িলাবাড়ি ঈদগা মাঠে জানাজা নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়। জাহেদুল ইসলাম শান্ত লালপুর উপজেলার বেড়িলাবাড়ি গ্রামের জামতলা গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় জাহেদুল ইসলাম শান্ত (৩০) তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৭) ও মেয়ে উম্মে তুরাইশার (৫) সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে মেয়ের নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। তারা বাঘা-ঈশর্দী মহাসড়কের বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া নামকস্থানে পৌঁছলে বাঘা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী সুপার সনি নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় বাবা-মেয়ে বাসের নিচে চাপা পড়ে। এতে বাবা ও মেয়ের শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় শান্তর স্ত্রী আহত হন। বাবা-মেয়ে ও স্ত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহেদুল ইসলাম শান্ত বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মৃত্যু হয়। সকালে বেড়িলাবাড়ি ঈদগা মাঠে জানাজা নামাজ শেষে সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে জাহেদুল ইসলাম শান্তর আতœীয় আবিদ হাসান বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জাহেদুল ইসলাম শান্তর মারা গেছে। তার মেয়ে উম্মে তুরাইশা ও স্ত্রী জেসমিন আক্তার রামেকের আর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি করা রয়েছে। মেয়ে উম্মে তুরাইশার অবস্থা অত্যান্ত খারাপ। মেয়েকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। এই ঘটনার পরে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে বাসটি পুলিশ জব্দ করে থানায় নিয়ে যান। শান্ত ইসলাম কিছুদিন আগে মালয়েমিয়া থেকে ছুটিতে দেশে এসেছেন। মেয়ে বাঘা গ্রীন হেভেন স্কুলের প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফম আছাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থল গিয়ে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বাসটি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। বাবা, মেয়ে ও স্ত্রীর মধ্যে বাবা সোমবার বিকালে মারা গেছে, মঙ্গলবার তার দাফন হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে