সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিষয়টি এখন সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তাঁর ভাষায়, নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে, তবে তা বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি আমরা অ্যাকটিভলি কনসিডার করছি। এটি নিয়ে ইতোমধ্যে একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে। তারা তাদের সুপারিশ জমা দিলে আমরা বিষয়টি চূড়ান্ত করব।”
এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, “২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে। তবে ঠিক কত শতাংশ হারে এ ভাতা দেওয়া হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কমিটির কাজ শেষ হওয়ার পরই তা চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে।”
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ভাতার সম্ভাব্য হার জানতে চাওয়া হলে ড. সালেহউদ্দিন জানান, “এটা এখন বলা যাবে না। ওয়ার্কআউট চলছে। ফাইনাল হলে কেবিনেটে পাঠানো হবে এবং প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন দিলেই ঘোষণা দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারি চাকরিজীবীরা হতাশ হবেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। যদিও এখনই কোনো ‘সুখবর’ বলা হচ্ছে না, তবে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় রয়েছে।”
এদিনের আলোচনায় উঠে আসে ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-সংক্রান্ত বিষয়ও। এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা জানান, ভারতীয় আমদানি বিধিনিষেধ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হবে। “আজই তারা আমার সঙ্গে দেখা করবে। তবে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়,” বলেন তিনি।
এনবিআর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমি এনবিআর নিয়ে কিছু বলছি না এবং তাদেরও বলবো না মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কোনো কথা মিডিয়ায় বলার জন্য। যদি কোনো কাভারেজ হয়, তাহলে আমি ব্যবস্থা নেব।”
তিনি আরও জানান, বৈঠকে এলএনজিসহ কয়েকটি জরুরি পণ্য দ্রুত আমদানির বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এই মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়িত হলে এটি হবে দীর্ঘদিন পর একটি বড় ধরনের আর্থিক স্বস্তির বার্তা। তবে কতটা এবং কবে থেকে তা কার্যকর হবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে বাজেট পেশ ও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া পর্যন্ত।