ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিকে কেন্দ্র করে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাঁর মতে, বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন, তাই ব্যক্তিগতভাবে কাউকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই। সিদ্ধান্ত হবে আইনি প্রক্রিয়া মেনেই।
সাভারের জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আয়োজিত দিনব্যাপী 'যুব সমাবেশ ২০২৫'-এ প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “সরকার যখন কোনো কাজ করে, তখন সেটি ব্যক্তির নয়, বরং একটি সমন্বিত কাঠামোর অংশ হিসেবে করে। এখানে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই, বিশেষ করে এত বড় বিষয়ে। যেহেতু এটি এখন আদালতের বিচারাধীন এবং এর সঙ্গে আইনগত নানা জটিলতা জড়িত, তাই বিষয়টি আইনগতভাবে সমাধান করতে হবে।”
আসিফ মাহমুদ জানান, আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। “আমরা ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছি, কারণ তারাই এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তাদের মতামতের আলোকে আমরা পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবো।”
এসময় বিএনপির চলমান আন্দোলনে তাঁকে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখার অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, “আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বাস্তবিক কোনো লাভ নেই। আইন ও আদালতের মাধ্যমেই বিষয়টির সমাধান হবে।”
এদিকে, সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এ সময় ভবনের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
এদিনের যুব সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে ভারতের কিছু পণ্য আমদানিতে সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গেও বক্তব্য দেন আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, “হঠাৎ আসা এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য সাময়িক চ্যালেঞ্জ হলেও এটি আত্মনির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আমাদের ব্যবসায়ীরা হয়তো প্রাথমিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তবে দীর্ঘমেয়াদে দেশের উপকার হবে।”
তিনি আরও জানান, “বাণিজ্য উপদেষ্টা এরইমধ্যে বলেছেন, এই সিদ্ধান্তে ভারতেরই বেশি ক্ষতি হবে, কারণ তারা বাংলাদেশে বেশি রপ্তানি করে। তবুও আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে হবে।”