দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহেশপুরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।শনিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ভৈরবা বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বিকেল ৫টার দিকে ভৈরবা বাজারে নিজ কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। নেতাকর্মীসহ তিনি ভৈরবা তেল পাম্প এলাকায় পৌঁছালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোজানুর রহমান সোজার অনুসারীদের সঙ্গে জিয়ার সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে।এসময় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ালে ভৈরবা বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বাজারের দোকানি ও ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোজানুর রহমান জানান,তার সমর্থকরা ভৈরবা বাজারে একটি পূর্বনির্ধারিত মানববন্ধন কর্রসূচির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।একপর্যায় দু,পক্ষের মধ্যে সংঘষে জড়িয়ে পড়ে ও পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, আহত ৯ জনের মধ্যে মোস্তফা,শরীফুল,আসাদুজ্জামান ও হাসানুজ্জামান নামে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ভৈরবা বাজারে আমার কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় সোজানুরের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের ৮ টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান বলেন,সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসার জন্য মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।