কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সোলার পাম্প গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ ও গ্রাহক নির্বাচন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার সৈয়দগাঁও এলাকায় এই সভা হয়। কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পাকুন্দিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক ও জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক সচিব মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ছোটন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক (প্রশাসন) ফকির শরীফ আহমেদ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাকুন্দিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আকরামুল ইসলাম, ডিজিএম (টেকনিক্যাল) মো. ফেরদৌস আহমেদ, এজিএম মওদুদ আহমেদ, এজিএম মো. মিথুন মিয়া প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, সারা বিশ্ব এখন গ্রীন এনার্জি (নবায়নযোগ্য) বিদ্যুৎ অর্থাৎ সূর্যের আলো থেকে সংগ্রহকৃত বিদ্যুৎ ব্যবহারে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ সে তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। আমাদের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রচুর জ্বালানি অর্থাৎ গ্যাস, কয়লা এবং ডিজেলের ব্যবহার হয়ে থাকে এতে উৎপাদন খরচ অনেক বৃদ্ধি পায়। জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আর এজন্য সরকার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সূর্যের তাপকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সংরক্ষণের করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সে লক্ষ্যে কৃষিখাতে বিদ্যুৎ বিহীন সেচ পাম্পের ব্যবহার ও বসতবাড়িতে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে সোলার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। যাতে সরকার প্রকল্প ব্যয়ের ৬০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। গ্রাহকগণ নিজেদের প্রয়োজনের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে বিক্রি করতে পারবে। ইতোমধ্যে ২১ টি জেলার অধীনে ৩৩ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকায় ০৫ টি ক্যাটাগরিতে (৩-১৫) অর্শ্ব শক্তি সম্পন্ন ২ হাজার অগভীর সেচপাম্প স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ধরণের সেচ প্রকল্প নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের তালিকা জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পাকুন্দিয়া এলাকা পরিচালক মো. আজহারুল হক খোকন। সাবেক পরিচালক কটিয়াদী এবং হোসেনপুর উপজেলা, পাকুন্দিয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ এবং শতাধিক গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।