গাবতলী মডেল থানার ওসি সেরাজুল হকের কর্মকান্ডে গাবতলী উপজেলার সকল অপরাধীদের আতংক সৃষ্টি হয়েছে। অপরাধীরা আত্মগোপনে রয়েছে, কিন্তু তাতে কি ওসি সেরাজুল হক নাছরবান্দা, অপরাধীদের ধরতে সাড়াশী গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে প্রতিনিয়ত।
তার ফলশ্রুতিতে তিনি, গাবতলী থানার মহিষাবান ইউনিয়নের কর্ণিপাড়া গ্রামের মোঃ সাব্বির হোসেনের পুত্র মোঃ জাকারিয়া (৩০) রাজমিস্ত্রিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কাজের কথা বলিয়া কৌশলে ডেকে নিয়ে আটক করে একদল অপহরনকারী।
ভিকটিমের পরিবারকে মোবাইল ফোনে (২৯ মে) সকাল ৯ ঘটিকায় প্রথমে মুক্তিপণ হিসেবে ১০ হাজার টাকা দাবি করে অপহরনকারীরা।
স্বামীকে ছাড়াতে ভিকটিমের স্ত্রী নিলুফা বেগম ১০ হাজার টাকা মোবাইল ফোনে অপহরনকারীদের প্রদান করেন।
তার পরেও স্বামী জাকারিয়াকে ছেড়ে না দিয়ে, অপহরনকারীরা পুনরায় এক লক্ষ টাকার দাবী করে এবং ভিকটিমকমের স্ত্রী নিলুফাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মারপিট ও নির্যাতনের শব্দ শোনায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গাবতলী মডেল থানায় ভিকটিমের স্ত্রী নিলুফা বেগম অজ্ঞাতনামাদের নামে (২৯মে) একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া অফিসার ইনচার্জ সেরাজুল হক থানায় নিয়মিত মামলা রেকর্ড করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজল কুমার দেবনাথ ও একটি চৌকস পুলিশ টিমের সহযোগিতায়, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে (২৯মে দিবাগত রাতে অর্থাৎ শুক্রবার (৩০মে) গভীর রাতে বগুড়া জেলার শেরপুর থানার কুসুমদী ইউনিয়নের টুনিপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে, বিনজু মিয়া ওরফে রকি(২৫), পিতা আব্দুল খলিল,সাং রথিরাম পাঠানপাড়া, থানা রাজারহাট, জেলা কুড়িগ্রাম, মোঃ রাসেল শেখ (২৬), পিতা গোলাম মোস্তফা, রাজু আহমেদ (২৩), পিতা মৃত খোকা প্রামানিক, উভয় সাং বনমরিচা, থানা, শেরপুর জেলা বগুড়াদের গ্রেপ্তার করে এবং
তাদের হেফাজতে থাকা ভিকটিম মোঃ জাকারিয়াকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরনকারীরা অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ওসি সেরাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।