সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান শনিবার সকালে সাভারের আশুলিয়ার ডিইপিজেড এলাকার নতুন জোনে অবস্থিত বিদ্যুতের পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,
“চারটা নতুন এলএমজি কারগো আনা হয়েছে। সরবরাহ শুরু হয়ে গেছে। তাই আজ থেকে আর তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে গ্যাস সংকট থাকবে না।”
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আর যোগ করে বলেন,
“এটা আরও দুই-একদিন আগেই হতো, কিন্তু সমুদ্র উত্তাল থাকায় জাহাজ থেকে গ্যাস নামানো সম্ভব হয়নি। আজ থেকেই গ্যাস সরবরাহ বাড়বে। ইতোমধ্যে ৫০ এমএমসিএফডি সরবরাহ বেড়েছে, আরও এক থেকে দেড়শ এমএমসিএফডি বাড়বে। গ্যাস সংকট মোকাবেলায় আরও চারটি এলএনজি কার্গো আনা হচ্ছে।”
উপদেষ্টা আরো বলেন, শিল্পাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে, বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ১ জুন সন্ধ্যার মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ সময় উপদেষ্টা আরও জানান, দেশে বিপুল সংখ্যক অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। শিগগিরই এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি তিতাস গ্যাসের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী এ অনিয়মে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি গাজীপুরের কোনাবাড়ী, মৌচাক, সফিপুর ও চন্দ্রা এলাকার বিভিন্ন কারখানা, বিশেষ করে টাওয়াল ট্রেক্স নামক কারখানা সরেজমিনে পরিদর্শন করে গ্যাস সংকটের বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন। উল্লেখ্য দীর্ঘ দিন ধরেই গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় তৈরি পোশাক, সুতা উৎপাদনসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানার উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সম্প্রতি গ্যাসচাপ আরও কমে যাওয়ায় অনেক কারখানায় উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে শিল্প উদ্যোক্তারা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে।
জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, “পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে আন্দোলন করার কোনো কারণ নেই এবং কোনো অচল অবস্থাও নেই। আন্দোলকারীদের যেসব দাবি দাওয়া আছে, যেগুলো যৌক্তিক সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।”