আবারো নাগেশ্বরীতে মিললো পাতি হাঁসের কালো ডিম

এফএনএস (হাফিজুর রহমান হৃদয়; নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:৫৫ এএম
আবারো নাগেশ্বরীতে মিললো পাতি হাঁসের কালো ডিম

পাতি হাঁস সাধারণত সাদা ডিম দেবে। কিন্তু সে ডিম যদি হয় কালো তাহলে কৌতুহল সৃষ্টি হবেই। এই হাঁসের কালো ডিম দেয়ার ঘটনায় দেশে প্রথম আলোচনা শুরু হয় ২০২২সালে। সেবার দেশের দক্ষিনের জেলা ভোলার চর ফ্যাশন  ও উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পাতি হাঁসের কালো ডিমের সন্ধান মেলে। বিষয় দুটি আন্তর্জাতিক ও দেশে গণমাধ্যমে আলোচনা সৃষ্টি করে। প্রায় দুই বছর পর আবারও কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে দেখা মিলেছে হাঁসের কালো ডিম। এ কালো ডিম নিয়ে স্থানীয় মানুষের কৌতুলের শেষ নেই। ভিড় করে আসছেন দেখতে। এবার এই কালো ডিমের দেখা মেলে নাগেশ্বরীর উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সুবলপাড় পশ্চিম বিষ্ণুপুর এলাকার মাছুম মিয়া ও শিউলি দম্পত্তির বাড়িতে। 

এ দম্পতি জানায় বাড়িতে  ৬টা দেশি জাতের পাতি হাঁস পালন করছেন। কয়েকদিন ধরে হাঁসগুলো সাদা ডিম দিলেও গত ৯ ডিসেম্বর হাঁসের খোয়ারে একটি কালো ডিম দেখতে পায় তাদের ছেলে সিয়াম। সাপের ডিম ভেবে ভেঙে ফেলা হয় সেটি। কিন্তু পরপর আরও তিনিট কালো ডিম খুপড়িতে। ধারণা করা হচ্ছে ৬টি হাঁসের মধ্যে যে কোন একটি হাঁস চারটি কালো ডিম দিয়েছে। পাতি হাঁস কালো ডিম দেয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে অনেকেই আসছে এই কালো ডিম দেখতে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শুধু মাছুম মিয়ার বাড়িতেই নয় ডিসেম্বরের শুরুতে নাগেশ্বরী সদরের জাকির হোসেন জুয়েলের বাড়িতেও দুটি কালো ডিম দেয় একটি পাতি হাস। এর আগে ২০২২ অক্টোবর মাসে  উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমের বাড়িতে তিনটি কালো ডিম দেয় একটি পোষা হাঁস। 

স্থানীয় জহুরুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, মানিকসহ অনেকেই জানান, হাঁসের দেয়া কালো ডিম এর আগে তারা দেখেন নাই বা হাঁস সাদা ডিম দেয়ার পরিবর্তে কালো ডিম দিচ্ছে এরকম ঘটনা তাদের জানা নেই। এটিই দেখা তাদের জীবনের প্রথম ঘটনা। তারা জানান, কালো ডিম দেখে আসলেই তারা অভিভুত।

হাঁসের মালিক মাছুম মিয়া জানান, প৯ ডিসেম্বর প্রথম কালো ডিমটি দেখতে পায় তার ছেলে সিয়াম। সেটা সাপের ডিম ভেবে ভেঙ্গে ফেলে দিয়েছে। পরে তিন দিনে আরও তিনটি কালো ডিম দিয়েছে হাঁস। এর মধ্যে প্রথম তিনটি কুচকুচে কালো হলেও শেষেরটা একটু হালকা কালো। এই কালো ডিম দেখে তারা অবাক হয়েছেন।

মাসুমের স্ত্রী শউলি পারভীন জানান, দীর্ঘ দিন থেকে হাঁস পালন করছেন তিনি তবে কখনো কালো ডিম দিতে দেখেননি তিনি। এবার ৬টি হাঁস রয়েছে তার। এই হাঁসগুলোর মধ্যে কোন হাঁসটি কালো ডিম দিয়েছে তা জানা যায়নি। সবগুলো হাঁস সুস্থ স্বাভাবিক রয়েছে।

নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণীসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ কোকিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সাধারণত হাঁসের সাদা ডিম দেয়ার কথা। কালো ডিম দেয়ার ঘটনা বিরল। জিনেটিক্যাল সমস্যার কারনে ডিমের রং কালো হতে পারে। এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। তবে খোলস কালো হলেও ডিমের পুষ্টিগুন ঠিক থাকে। 



আপনার জেলার সংবাদ পড়তে