কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না কুমিল্লা-হোমনা সড়কের রুট পারমিট বিহীন অবৈধভাবে রূপালী ট্রান্সপোর্টের অবৈধ বাসগুলো চলাচল করছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা শাসনগাছা থেকে হোমনা সড়কে অদক্ষ চালকদের বেপরোয়ার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝড়ছে তাজা প্রাণ। রোববারও চান্দিনার কুটুমপুর এলাকা বেপরোয়া যানের কারণে এক মহিলা নিহত হয়েছে। এই রূপালী ট্রান্সপোর্টের বাসের কারণে প্রতিনয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। যাত্রীদের অভিযোগ, রূপালী বাসের চালকদের ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতায় ঘটছে দুর্ঘটনা, এতে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। আর চালকদের দাবি, আধুনিক সড়কে যানবাহনের গতি থাকা ও অদক্ষ চালকদের কারণে বেড়েছে দুর্ঘটনা এবং তারা জরিমানা দিয়ে অব্যস্ত আমরা। তাই আমাদের কোন সমস্যা হয় না। এ দুর্ঘটনা তাদের কোছে কোন ব্যাপারই না বলে জানান। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে শুধুমাত্র আর্থিক জরিমানার মধ্যেই আটকে আছে হাইওয়ে পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, আওয়ামী রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কতিপয় নামধারী নেতা সাইফুল কুমিল্লা শাসনগাছা থেকে হোমনা টু কুমিল্লা ভায়া গৌরীপুর রোডে পারমিট বিহীন রুপালী সুপার সার্ভিস নামে একটি পরিবহনের চলাচল করছে। এছাড়াও গাড়িগুলোর কুমিল্লার কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। প্রতিনিয়ত দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। রোড পারমিটও নেই। ঢাকার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর দিয়ে মিনিবাস চলাচল করছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর পর্যন্ত ও হোমনা সড়কে বেপেরোয়াভাবে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের মাঝে প্রতিনিয়ত আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। বেপরোয়া গতিতে চলছে রূপালী ট্রান্সপোর্ট নামীয় যাত্রীবাহী যানবাহন। এতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। আর দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া যানবাহন পড়ে আছে হাইওয়ে থানার সামনে। বিষয়টি বিআরটিএ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সাধারণ মানুষ।
হোমনা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মনির হোসেন বলেন, “রুপালী সুপার সার্ভিসের বাসগুলো হোমনা-কুমিল্লা রোডে চালু হয়েছে, সেগুলোর কোনো পারমিট নেই। সম্পূর্ণভাবে অবৈধভাবে এগুলো সড়কে চলছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
জনসাধারণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি মহল মনে করছেন, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে যাত্রী হয়রানি, সড়ক দুর্ঘটনা ও পরিবহন খাতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বেড়ে যাবে। হোমনা-কুমিল্লা সড়কে জননিরাপত্তা ও পরিবহন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পরিবহন কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।