দেশজুড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। মশাবাহিত এ রোগে একদিনেই মৃত্যু হয়েছে আরও দুইজনের, নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৯২ জন রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিভিন্ন বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুনভাবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা নিম্নরূপ:
১. বরিশাল বিভাগ – ১২৬ জন
২. চট্টগ্রাম বিভাগ – ৮০ জন
৩. ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন – ৬৪ জন
৪. রাজশাহী বিভাগ – ৪১ জন
৫. ঢাকা বিভাগ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) – ৩১ জন
৬. খুলনা বিভাগ – ২৫ জন
৭. ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন – ২২ জন
৮. ময়মনসিংহ বিভাগ – ১ জন
৯. রংপুর বিভাগ – ১ জন
সর্বশেষ মারা যাওয়া দুইজনই নারী; একজন বরিশাল বিভাগের ও অপরজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৮ হাজার ১৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৮০৮ জন এবং নারী ৩ হাজার ৩৪১ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৪ জনের—তন্মধ্যে পুরুষ ও নারী সমান সংখ্যক, অর্থাৎ ১৭ জন করে।
সাম্প্রতিক একদিনে সারা দেশে ২৬০ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৭ জন।
২০২৪ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন মোট ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। তার আগের বছর, ২০২৩ সালে, রেকর্ড ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ হাজার ৭০৫ জনে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু সংক্রমণ দ্রুত বাড়ার আশঙ্কা থাকায় এখনই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন। বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন থাকতে হবে এবং জমে থাকা পানি দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে।