ঝিনাইদহে দুই সতিনের ঝগড়া থামাতে গিয়ে স্বামীর মৃত্যু

এফএনএস(টিপু সুলতান; কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ)
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:৫৩ এএম
ঝিনাইদহে দুই সতিনের ঝগড়া থামাতে গিয়ে স্বামীর মৃত্যু

শহরের কলাবাগান এলাকায় দুই সতিনের ঝগড়া থামাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে স্বামী আব্দুল জব্বারের (৫৫)। ঝিনাইদহ শহরের কলাবাগান ৪ রাস্তার মোড় এলাকায় সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর কারণ সন্দেহজনক হওয়ায় ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শাখা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বড় স্ত্রী মিষ্টি খাতুনকে নিয়ে শহরের আরাপপুরে বসবাস করেন। করোনাকালীন সাথী নামে এক স্কুল শিক্ষককে বিয়ে করেন তিনি। শহরের কলাবাগান এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন সাথী। রোববার রাতে ছোট বউয়ের বাসায় আসেন আব্দুল জব্বার।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার সকালে ছোট বউয়ের বাসায় চলে আসেন বড় বউ। সকাল থেকে দু’জনের মাঝে শুরু হয় ঝগড়া বিবাদ। দুপুরের দিকে তাদের দুজনের মাঝে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ইবির ওই কর্মকর্তা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।আব্দুল জব্বারের মৃত্যু হলে দুই স্ত্রীকে আটক করে রাখে এলাকাবাসী। পরে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আঘাত জনিত কারণ নাকি স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে এর সঠিক তদন্তের দাবি স্বজনদের। ওই ইবি কর্মকর্তার মামাতো ভাই অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক সাগর বলেন, শুনেছি আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। যদি মৃত্যুর কারণ আঘাত হয়ে থাকে তাহলে এর সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আর যদি স্ট্রোকে মৃত্যু হয় তাহলে আমরা সেটাও জানতে চাই।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর কারণে নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে তাই আমরা মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলেই সঠিক কারণ বেরিয়ে আসবে। যদি আঘাত জনিত কারণে মৃত্যু হয় তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  আব্দুল জব্বারের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের হরিহরা গ্রামে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে