রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের তিওরকুড়ী গ্রামে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের জেরে ফিরোজ (২০) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার ৩ (জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ফিরোজ উপজেলার পাঁচুবড়ী গ্রামের শাহিন আলীর ছেলে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, প্রায় দুই বছর আগে ফিরোজের বিয়ে হয় খুলনার সারঙ্গা থানার উলতলা গ্রামের সোহরাব আলীর মেয়ে সুরাইয়া (১৬)-র সঙ্গে। দাম্পত্য কলহের জেরে কিছুদিন আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
নিহতের পরিবার জানায়, বিবাহবিচ্ছেদ এর পরেও গত বুধবার রাতে সুরাইয়ার সঙ্গে ফিরোজের মোবাইলে কথা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নিজ ঘরে স্ত্রীর ওড়না দিয়ে বাঁশের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন ফিরোজ। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, “বিয়ের দুই বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ফিরোজ। সেই ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।”
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হোদা জানান, “ খবর পেয়ে নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজনের কোন অভিযোগ না থাকায় মৃতের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।”