ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার শতকরা ৫৮ দশমিক ২২ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৬৭৮ জন শিক্ষার্থী। পাশের হারে গত বছরের চেয়ে এবারের ফলাফলে ২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ কম। গতবার পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৩ হাজার ১৭৬ জন। যা গত বছরের চেয়ে ৬ হাজার ৪৯৮ জন কম।
ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শহিদুল্লাহ জানান, বোর্ডের
এক হাজার ৩২৮ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫ হাজার ৫৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬১ হাজার ৪৫৬ জন। এরমধ্যে ৫৩ হাজার ৭৭২ জন ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৯ হাজার ৬১২ এবং ৫১ হাজার ৭৮৬ মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩১ হাজার ৮৪৪। এই বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে ৩৪ হাজার ৬১৬ জন, মানবিক বিভাগে ২৪ হাজার ৪২ জন এবং ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ২ হাজার ৭৯৮ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেয়া যায়, গত বছরের চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার ১৫টি বেশি হলেও অংশগ্রহণকারি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৮০ জন কম ছিল এবং ৩৯ হাজার ৭০২জন শিক্ষার্থী কম পাস করেছে। এবছর বিজ্ঞান বিভাগে ১২ হাজার ৪৩৭ জন, মানবিক বিভাগে ৬১৮ জন এবং ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ১২১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের পাসের হার ৯২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মানবিক বিভাগে ৮০ দশমিক ২১ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৮৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। এবারো জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই এগিয়ে রয়েছে। ৩ হাজার ১২৬ জন ছেলে ও ৩ হাজার ৫৫২ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শিক্ষাবোর্ডের অধিনে পাসের হার জামালপুর জেলায় ৬০ দশমিক ১৯ শতাংশ, শেরপুর জেলায় পাসের হার ৫৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ময়মনসিংহ জেলায় পাসের হার ৫৭ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং নেত্রকোনা জেলায় ৫৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত বছর জামালপুর জেলায় পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ, শেরপুরে ৮৩ দশমিক ২২ শতাংশ এবং নেত্রকোনায় ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এতে দেখা যায় এই বোর্ডের চারটি জেলায় পাসের হার অনেক কমেছে। এবার ১১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে এবং ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ অকৃতকার্য হয়েছে।
ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শহিদুল্লাহ জানান, এই ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা সব সময় চাই শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করুক। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গুণগতমান নিশ্চিত করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আগামীতে লেখাপড়ার মান বাড়ানো ও ফলাফল বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আগামীতে অভিভাবক, প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা চেষ্ঠা করলে আরো ভালো করতে পারবো।