আলমগীর হোসেন সিটি আবাসন মেলায় শিল্পপতি শিপলু

এফএনএস (আমিনুল হক সাদি; কিশোরগঞ্জ) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:২২ এএম
আলমগীর হোসেন সিটি আবাসন মেলায় শিল্পপতি শিপলু

কিশোরগঞ্জের মহিনন্দে অবস্থিত আলমগীর হোসেন সিটি একযুগে পদার্পন করেছে। কিশোরগঞ্জের শিল্পউন্নয়নে আবাসন মেলার আয়োজন করে এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি ও কার্যক্রম উপস্থাপন করেন জননেতা আলমগীর পুত্র শিল্পপতি শফিকুল আলম শিপলু।কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল পেট্রল পাম্প সংলগ্ন স্কাই টাচ প্রকল্পের দ্বিতীয় তলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  ফিতা কেটে এই মেলার শুভ উদ্বোধন করেন সলিউসন নেস্ট বিডি’র চেয়ারম্যান রাবেয়া বেগম। মেলায় আলমগীর হোসেন সিটি ছাড়াও  আবাসন নির্মাণ সামগ্রীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই আবাসন মেলায় অংশ নিয়েছে। শহরের গাইটাল এলাকার স্কাই টাচ প্রকল্পের দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত এই আবাসন মেলা ১৯ ডিসেম্বর থেকে  চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আলমগীর হোসেন সিটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সলিউসন নেস্ট বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি শফিকুল আলম শিপলু মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাদের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের বিষয়ে উপস্থিত সূধীজনদের  প্রজেক্টের মাধ্যমে বিস্তারিত বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে পারছেন যে, অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে আমাদের প্রিয় কিশোরগঞ্জ আজ আমাদের কাছেই অপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকা আজ সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অনুপযোগী একটি জনপদের রূপ নিয়েছে। এখানে নেই কোনো পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ফলে অল্প বৃষ্টিতেই প্রচন্ড জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, নেই কোন প্রশস্ত রাস্তা, যেগুলো আছে তা-ও আবার ভঙ্গুর অবস্থা, যানচলাচলের অনুপযোগী, ময়লা আবর্জনায় ভরপুর, স্বাভাবিকভাবে নিশ্বাস নেওয়ার কোনো উপায় নেই, নেই কোনো উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা, কোনো ভালো নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই উচ্চতর শিক্ষালাভের জন্য কিশোরগঞ্জ ছেড়ে আমাদের পরিবারের সদস্যদেরকে ঢাকামুখী হতে হয়। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও কষ্টদায়ক। মানুষ তার একজীবনে কতদিনইবা বাঁচে। এই ছোট্ট সময়কালের কিছুটা বছর তার পরিবারকে নিয়ে প্রিয় জন্মভূমিতে থাকার সুযোগ পায়, তার পরই আবারও বিচ্ছেদ। এসকল বিষয়গুলো যখন আমার হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করছিল তখনই আমি ভাবলাম আমি এমন একটি কাজ করব যেনো তা শুধু ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে না হয় বরং এটি যেনো হয় জনকল্যাণমূখী/জনসেবামূলক। এ লক্ষ্যেই গড়ে তুলি "আলমগীর হোসেন সিটি"। আলমগীর হোসেন হচ্ছেন আমার পিতা। সন্তান হিসেবে আমি আমার পিতার আদর্শকে সবসময় আমার হৃদয়ে লালন করি। তাই আমি আমার পিতার নামকে চিরস্থায়ী করে রাখার জন্য "আলমগীর হোসেন সিটি" নামে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। আমি ক্ষুদ্র পরিসরে ও নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চেষ্টা করেছি/করছি যেনো আমার প্রিয় কিশোরগঞ্জবাসী একটি সুন্দর মনোমুগ্ধকর পরিবেশে তাদের বাসস্থান নির্মাণ করে বসবাস করতে পারে। একই সাথে নাগরিক অন্যান্য যে সুযোগ সুবিধাগুলো নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন তা নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ বিমুখ পরিবারগু লোকে কিশোরগঞ্জে ফিরিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে আলমগীর হোসেন সিটি আবাসন প্রকল্পে "আলমগীর হোসেন মেমোরিয়াল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়" নির্মাণ করে এর কার্যক্রম শুরু করেছি এবং একই- সাথে "আলমগীর হোসেন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ" এর জন্য ১ একর ৩২ শতাংশ জায়গা বরাদ্দ রেখেছি। যার কার্যক্রম অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শুরু হবে। আমি আমার প্রকল্পটি ২০১২ সালের ২১ শে ডিসেম্বর হতে আরম্ভ করে বর্তমান সময় পর্যন্ত আমার দেওয়া অঙ্গীকারের প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছি। অবশিষ্ট কাজ আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুজ্জামান বাবুল,সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মুরাদ রেজা,সলিউসন নেস্ট বিডি’র পরিচালক বেগম দিল ইসরাত জাহান,আলমগীর হোসেন সিটি-২ ইকোপার্ক এর মহাব্যবস্থাপক কেএম রফিকুল আলম, কনস্ট্রাকশন জোনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী, সহকারী ব্যবস্থাপক শাহরিয়াল কবীর মুকুল, আলমগীর হোসেন মেমোরিয়াল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তানজিনা আক্তার,বিজনেস প্রমোটর তুষার ইমরান, প্রকৌশলী হোসাইন রনি,মসজিদে রাবেয়ার ইমাম মাও কামরুল হাসান প্রমুখ।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে