নীলফামারীর তিস্তা সেচ প্রকল্পের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম
নীলফামারীর তিস্তা সেচ প্রকল্পের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পূর্ণবাসন ও সম্প্রসারণ কাজ করা হয়েছে। ওই কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। কাজে নিম্নমানের সিমেন্ট, বালু, ও পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। অধিগ্রহণ এলাকার মাটি কেটে সেচ খাল সংস্কার করায় এলাকাবাসির মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে ।

জানা গেছে,সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় টি-টু-এস-সেভেন-টি সেচ ক্যানেলের পূর্ণবাসন ও সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৭ কোটি ৮ লাখ টাকা। ও এস-ওয়ান-বি ক্যানেলের উভয় ডাইক সংস্কার পূর্ণবাসন কাজের বরাদ্দ দেয়া হয় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা । সংস্কার ও পূর্ণবাসন কাজ দুটি করছেন পটুয়াখালির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবুল কালাম আজাদ ও মতিঝিল ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লিটন সিকদার (জেভি)।

এলাকাবাসী দুলাল,মোকলেছার রহমান,রফিকুল ইসলাম,তরিকুল ইসলাম,কইদুল ইসলামসহ অনেকে বলেন,ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি মাটির কাজে ব্যাপক দূর্নীতি করেছেন। কার্যাদেশের নিয়ম অনুযায়ী উভয় ডাইকে মেরামতের জন্য অধিগ্রহণ এলাকার বাহির থেকে মাটি সংগ্রহ করতে হবে। এ নিয়ম থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওর্য়াক এ্যাসিসটেন্ট ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করে ক্যানেলের অধিগ্রহণ এলাকার মাটি কেটে মেরামত কাজ করছেন। এতে করে ক্যানেল ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পরবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সাথে ঠিকাদারের লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। এছাড়া ক্যানেলের সিসি লাইন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে স্থানীয় নিম্নমানের বালু ও মড়া পাথর। এলাকাবাসী এ ধরনের নিম্নমানের কাজ করতে বার বার নিষেধ করলেও পাউবোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ সাধারণ মানুষের কথা কর্ণপাত করছেন না। তবে ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ ও লিটন সিকদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- কাজ নিয়মানুযায়ী করা হচ্ছে।

সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,এখানে এ্যাকোয়ার এলাকা থেকে মাটি কাটার কোন সুযোগ নাই,যদি এ রকম কোন ঘটনা ঘটে, তাহলে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে এ কাজের সাথে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত না।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে