এযেন অসাধারণ এক শিল্পকর্ম। বাহারি রং এ সাজানো এ ঘুড়িটির নাম সাপ! আকাশে উড়তে দেখলে মনে হয় রূপকথার এক চিত্রকল্প।মনে হচ্ছিলো আকাশ থেকে কোনো দানব বুঝি গ্রাস করতে ধাওয়া করল! এই 'সাপ ঘুড়িকে একা সামলানো যে বড় দায়, কেননা একজনকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে যে কোনো সময়, তাই তো নাটাই ধরে রাখতে হয় ৫-১০ জন কিশোরকে।
৭০ হাত র্দীঘ এ ঘুুড়িটি তৈরি করছেনে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট করতোয়া পাড়ের স্কুল পড়ুয়া ১০ জন শিক্ষাথী। নিজেদের জমিয়ে রাখা টাকা দিয়ে এ সাপ ঘুড়ি তৈরি করেছেন তারা। এতে সময় লেগেছে ১০ দিন।
এলাকায় এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে এই ঘুড়িটি। কুঁড়িয়েছেন বেশ প্রশংসা। বিকেল হলেই সবাই জমায়েত হন ঘুড়িটিকে এক নজর দেখতে। আকাশে উড়ানোর সময় সমবেত ভাবে হাসি আনন্দে মেতে উঠে সব বয়সের মানুষ।
এমন ঘুড়ি তৈরির পেছনের গল্পটা সম্বন্ধে হাসবি মরিয়া জানান, আমাদের এলাকায় এর আগে এমন ঘুড়ি কেউ তৈরি করেনি, সেই জায়গা থেকেই এমন কিছু একটা করার চিন্তা মাথায় আসে। এরপর সাপ ঘুড়ি তৈরি শখ জাগে। আর ভালো লাগা থেকেই কাজ শুরু করি, র্দীঘ সময় পর সাপকে আকাশে উড়াতে পেরেছি, এটাই র্স্বাথকতা। আগামিতেও নতুন কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় স্থাানীয়রা জানান, তাদের এই অসাধারণ সৃষ্টি র্কমকে দেখে খুবই ভালো লাগছে। এর আগে এত বড় ঘুড়ি সচক্ষে কোন দিন দেখা হয়নি। ঘুড়ির তালতোলে যনে আমাদের মনটাও কিছুক্ষণের জন্য নীল আকাশে পাখা মেলেছিল।