রূপসায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আটক

স্কুলছাত্রী‌কে ধর্ষণের অ‌ভি‌যোগে খুলনার রূপসা উপজেলার পাঁচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া শেখ (তুহিন) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাত আনুমানিক ১০টার দি‌কে নিজ বাড়ি থেকে তাকে রূপসা থানা পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুসে উঠেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সী ওই শিশুটি পাঁচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। গত ১৬ জুলাই বিদ্যালয়ে টিফিন চলাকালীন প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া শেখ (তুহিন) এ জঘন্য কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার পর শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার পরিবারের কাছে বিষয়টি জানায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অপকর্মের গুঞ্জন শোনা গেলেও প্রভাব এবং ভয়ে কেউ সাহস করে মুখ খুলতে পারেনি। ফলে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দিনদিন বেড়ে উঠেছে। 

ধর্ষণের শিকার শিশুটির পিতা রূপসা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া শেখ (তুহিন)-কে তার নিজ বাড়ি রূপসা থানার স্বল্প-বাহিরদিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে থানা পুলিশ আসামিকে আদালতে প্রেরণ করে।

বর্তমানে ধর্ষণের শিকার শিশুটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকার সর্বস্তরের মানুষ স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ। তারা অবিলম্বে ইয়াহিয়া শেখ (তুহিন)-এর সর্বোচ্চ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘৃণ্য অপরাধ করার সাহস কেউ না পায়।

এব্যাপারে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, শিশু ধর্ষণকারী ওই শিক্ষককে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। আটককৃত শিক্ষককে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।