তাসকিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিলেন সিফাত

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশ: ৩১ জুলাই, ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম
তাসকিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিলেন সিফাত

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে বন্ধুকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে কয়েকদিন ধরে ক্রিকেট মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে বুধবার (৩০ জুলাই) বিষয়টির আপোষ-মীমাংসার মাধ্যমে অবসান ঘটে। মিরপুর মডেল থানায় করা সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) প্রত্যাহার করেছেন অভিযোগকারী বন্ধু সিফাতুর রহমান সৌরভ।

এর আগে সোমবার (২৮ জুলাই) তাসকিনের বিরুদ্ধে মারধর ও হুমকির অভিযোগে থানায় জিডি করেন সৌরভ। তাতে বলা হয়, রোববার (২৭ জুলাই) রাতে রাজধানীর সোনি সিনেমা হলের সামনে তাসকিন তাকে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং হুমকি দেন। বিষয়টি মিরপুর থানায় নিশ্চিত করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদুর রহমান। তিনি জানিয়েছিলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

তবে অভিযোগের পরপরই ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তাসকিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি লেখেন, ‘‘এটা ভিত্তিহীন খবর। আমার আরেক বন্ধুর সঙ্গে আরেকজন বন্ধুর ঝগড়া হয়েছে। দুজনই আমার বন্ধু, কিন্তু আমার সঙ্গে কারও কোনো ঝগড়া হয়নি। সবাইকে অনুরোধ করব গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। এটি আমার, আমার পরিবার ও বন্ধুর জন্য অসম্মানজনক।”

ঘটনার পরবর্তী ধাপে সৌরভ একবার জানিয়েছিলেন, তিনি তাসকিনের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে চান। এরপর দুই পরিবার একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে। ৪৮ ঘণ্টা সময় নিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার (৩০ জুলাই) অভিযোগ তুলে নেন সৌরভ।

গণমাধ্যমের সামনে সৌরভ বলেন, ‘‘দুই পরিবারের আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিউচুয়ালি নিষ্পত্তি হয়েছে। বন্ধুদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেখান থেকেই সমস্যা শুরু। আমি আগে ক্ষমা চাইনি, অভিযোগও তুলি নাই। আজ আমরা পারিবারিকভাবে বসে সমাধানে পৌঁছেছি।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘তাসকিন ভাই আমার আত্মীয়ের আত্মীয় হন। আমরা যখন অভিযোগ করেছিলাম, তখন পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না। এখন সব মিটে গেছে। আমি তাকে একজন খেলোয়াড় হিসেবে সম্মান করি, ভবিষ্যতের জন্য তার প্রতি শুভকামনা রইল। তবে বন্ধুত্বের জায়গা থেকে আমি কিছুটা ট্রমাটাইজড।”

সৌরভের খালা ঝুমা খান জানান, নিরাপত্তার স্বার্থেই প্রথমে অভিযোগ করা হয়েছিল। পরে পরিস্থিতির উন্নয়নে পারিবারিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে তা প্রত্যাহার করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘৪৮ ঘণ্টার সময় চাওয়া হয়েছিল। বাবা-মা, আত্মীয়রা বসে আজ সমাধান করেছেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেটির জন্য প্রতিশ্রুতি নেওয়া হয়েছে। আমি সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে পেরে গর্বিত।”

এভাবে বন্ধুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ শেষ পর্যন্ত পারিবারিক সমঝোতায় নিষ্পত্তি পেলেও, ঘটনাটি কিছুদিনের জন্য জাতীয় দলের এক ক্রিকেটারকে নিয়ে বিরূপ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তবে দ্রুত মীমাংসা হওয়ায় নতুন কোনো জটিলতায় গড়ায়নি ঘটনাটি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে