সেনবাগ থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে নকল স্বর্ণ প্রতারক চক্রের দুই সদস্য সাইফুল ও মিলনকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় পুলিশ তাদের নিকট থেকে ফেনীর সোনাগাজীর কুটিরহাট বাজার এলাকার অজ্ঞাত মহিলার নিকট থেকে প্রতারণা করে আনা বেশ কিছু স্বণালংকার্র উদ্ধার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে ঃ সেনবাগ উপজেলার ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের বটতলা এলাকার ইমাম আলীর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩২) ও বেগমগঞ্জ উপজেলার ১১ নং দুর্গাপুর ইউপির ৬নং ওয়ার্ড দুর্গাপুর গ্রামের স্বর্ণকার বাড়ির কিছমত আলী প্রকাশ জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র মোঃ মিলন হোসেন (৩২)। এ সময় তাদের নিকট থেকে প্রতারণা করে আনা বিভিন্ন রকমের সাড়ে আট আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
এরআগে বুধবার ৩০ জুলাই বিকাল পৌনে ৪টার দিকে সেনবাগ থানার এসআই জুয়েল রানার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নোয়াখালী-ফেনী ফোর-লেইন মহাসড়কের সেবারহাট বাজার সংলগ্ন মেসার্স আলাউদ্দিন ফিলিং ষ্টেশনের সামনে থেকে তাদের দুইজনকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের নিকট থেকে সাড়ে আট আনা ওজনের বিভিন্ন রকমের স্বর্ণ এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান নকল স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার নকল স্বর্ণ প্রতারক চক্রের সদস্য, তারা এ জনপদে দীর্ঘদিন ধরে সহজ-সরল মহিলাদের টার্গেট করে নকল স্বর্ণের বার দেখিয়ে কৌশলে আসল স্বর্ণ চুরি করে মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দাগন ভূঁইয়া থানায় নকল স্বর্ণ প্রতারণার মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম দুই মাসের সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি এবং মিলন হোসেন বেগমগঞ্জ থানার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামি। চোরাই স্বর্ণালংকা উদ্ধারের ঘটনায় এএসআই মোঃ জুয়েল রানা বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতে প্রেরন করা হলে তারা নকল স্বর্ণ প্রতারক চক্রের সদস্য বলে ১৬৬ ধারায় জবানবন্ধী প্রদান করে। এরপর তাদের দুইজনকে নোয়াখালী কারাগারে প্রেরণ করাহয়।